ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি মোঃ অমিদ হাসান
সুদের মহাজনদের অত্যাচার দিনদিন বেড়েই চলেছে ঝিনাইদহে । ধার করে টাকা নেওয়ার পর তার ৫গুণ টাকা পরিশোধ করলেও মিলছে না কোন নিস্তার । কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হলেই চলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ । হেয় করা হয় সামাজিক ভাবে । সাধারণ মানুষের জীবণ হয়ে ওঠে দুর্বিষহ । এলাকাবাসীর দাবী এসব ঘটনায় দরকার শক্ত আইনি ব্যবস্থা ।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানীতে সুদসহ আসল টাকা পরিশোধের জন্য সুদের মহাজনের চাপ সইতে না পেরে সিরাজুল ইসলাম সুরুজ নামে এক ব্যবসায়ি আতœহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর পর তার পকেট থেকে মেলে একটি রহস্যজনক চিরকুট । যা দেখে এলাকায় রিতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় । চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা এলাকার মানুষ চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ।এদিকে চিরকুট লেখা রয়েছে ""সুধখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না, আমার জায়গা-জমি বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেক জনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া তার সাত আট দশগুণ পরিমাণ টাকা দিয়েও রেহাই দিলো না তারা। কেউ কেস করেছে কেউ কেউ অপমান অপদস্ত করেছে আমি আর সহ্য করতে পারছিনা তাই বিদায় নিলাম। আমার জানাযা হবে কিনা জানিনা। যদি হয় তখন সব সুদখোররা টাকা চাইতে এলে আমার শরীরটাকে কেটে ওদেরকে দিয়ে দিবেন। এই সুদখোরদের বিচার আল্লাহ করবে। সুদখোরদের নাম বললাম না কিন্তু তারা সবাই টাকার জন্য আসবে। তখন বুঝতে পারবেন তারা কারা আমি ক্ষমার অযোগ্য তবু ক্ষমা করে দিবেন।""সিরাজুল ইসলাম সুরুজ দীর্ঘ ৩০বছর সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করতেন। কয়েকবছর আগে দেশে ফিরে হলিধানী বাজারে একটি কনফেকশনারি দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। হঠাৎ করে তার দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে গিয়ে তিনি ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়লে তিনি দোকান ছেড়ে দেন। এর মাঝে অনেক পাওদানার তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার কোন এক পাওনাদারের ফোন কলে সে ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি গলায় রশি দিয়ে আতœহত্যা করেন। দুই সন্তান সৌদী প্রবাসী হওয়ায় স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী সবুরা খাতুন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ।ভক্সপপ- এলাকাবাসী,ভক্সপপ-স্ত্রী (সবুরা খাতুন)ঘটনার তদন্ত চলছে । এই বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।মীর আবিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) ঝিনাইদহ ।সিরাজুল ইসলাম সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্র পুর গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে । গত শুক্রবার ৮সেপ্টেম্বর আনুমানিক দুপুর দুইটার দিকে সে তার শ্বশুর মৃত আলি আহমদের বাড়ি দুইতলায় ফ্যানের রডের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্যহত্যা করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক খান মো সাইফ উদ দৌলা শাওন কর্তৃক প্রকাশিত।
নির্বাহী সম্পাদকঃ খ ম সাইফুল হাবিব সজিব,
সারা দেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে বিস্তারিত জানতেঃ whatsapp +8801717165415
Copyright © 2024 দৈনিক ভোরের প্রতিধ্বনি. All rights reserved.