সীতাকুণ্ডে পিএইচ পির ফ্যামিলীর কে আর শিপ রিসাইক্লিং গ্রিন শিপ ইয়ার্ড পরিদর্শনে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

রাফি চৌধুরী,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ

পিএইচডি পি ফ্যামিলীর কে আর শিপ রিসাইক্লিং শিপ ইয়ার্ডটি গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডে স্বীকৃতি লাভ করেছেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বর্তমানে জাহাজভাঙা শিল্পে কয়েকধাপ এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্প বিশ্ব বাজারে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হবে।

সোমবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের গ্রিন শিপইয়ার্ডের স্বীকৃতি পাওয়া কে আর শিপ রিসাইক্লিং নামক জাহাজভাঙা কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসন।

পরিদর্শনকালে কে আর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের সবুজ প্রকৃতি ও পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের জাহাজভাঙ্গা শিল্প বিশ্বে বর্তমানে শীর্ষ স্থানে আছে। এ শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে হলে হংকং কনভেনশন মেনে ইয়ার্ডগুলোকে উন্নতির পথে হাটতে হবে। কে আরসহ চারটি কারখানা ইতোমধ্যে গ্রীন শিপ ইয়ার্ডের সনদ পেয়েছে। আরো বেশ কিছু কারখানা উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আশা করি ২০২৫ সালের মধ্যে সব কারখানা সবুজ সনদের আওতায় আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,নরওয়ের পতাকাবাহী জাহাজ কাটতে হলে বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। এখানকার শিপ ব্রেকিং শিল্প যেভাবে উন্নতি করছে হয়তো ২০২৫ সালের পর নরওয়ের শিপও এখানে কাটা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

কে আর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন প্রতিনিধি কে বলেন, সম্প্রতি আমরা ব্যুরো ভেরিটাস ও ক্লাস এন কে থেকে সবুজ সনদ পেয়েছি। আধুনিক সব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে শ্রমিকদের সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি পরিবেশ সম্মতভাবে জাহাজ কাটা সম্ভব হবে আমাদের কারখানায়। এর ফলে পৃথিবীর নামি-দামি শিপিং কোম্পানিগুলো তাদের জাহাজ কাটার জন্য আমাদের অগ্রাধিকার দিবে।

তিনি আরও বলেন,স্থানীয় বাজারে রডের চাহিদা কমে যাওয়া,আন্তর্জাতিক বাজারে জাহাজের দাম বৃদ্ধি,ডলার সংকটসহ নানা কারণে জাহাজভাঙ্গা শিল্প একটি অস্থির সময় পার করছে। এরই মাঝে কারখানাগুলোকে আধুনিকায়নের একটি চাপও আছে। তার সাথে যোগ হয়েছে জাহাজভাঙ্গা শিল্পকে কমলা থেকে লাল শ্রেণিভুক্ত করার খড়গ। সব মিলিয়ে এ শিল্পের উদ্যোক্তারা নানামুখী চাপের মধ্যে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

একেকটা কারখানাকে গ্রীন ইয়ার্ডে রুপান্তর করতে ৩০-৫০ কোটি টাকা লগ্নি করা উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার যদি সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ সুবিধা দেয় ঘুরে দাঁড়াতে পারে সম্ভাবনাময় এ শিল্প।

জাহাজভাঙ্গা শিল্পকে পুনরায় কমলা শ্রেণিভুক্ত করার দাবিও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *