সীতাকুণ্ডে দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়ির তৈরি করলেন ফিল্যান্সার

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামে দু’তলা বিশিষ্ট একটি কাঠের তৈরি বাড়ির সৌন্দর্যে মুগ্ধ এলাকাবাসী।

দৃষ্টিনন্দন কাঠের তৈরি এই বাড়ির মালিক ওমর ফারুক (২৮) নামে একজন ফিল্যান্সার।

তিনি ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।মূলত বাড়ি নির্মাণে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা মাথায় আসলে তিনি কাঠের তৈরী বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেন।সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইউটিউবে কাঠের তৈরি বাড়ির ভিডিও দেখে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেন।এরপর বড় ভাইকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং ঘুরে আসেন এবং বাড়ির বায়না করে এলাকায় ফিরে আসে।বাড়ির অর্ডার দেয়ার ৫ দিনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে সীতাকুণ্ড আনা হয়।বাড়ির প্রতিটি অংশ আলাদা বিধায় মুন্সিগঞ্জ জেলার অভিজ্ঞ কাঠমিস্ত্রি দ্বারা এটি নির্মাণ করা হয়েছে।কাঠের তৈরি বাড়ির প্রতিটি দরজায় নিপুণভাবে কারুকাজ সবার নজর কাড়ছে।এতে ২৯ টির মতো জানালা ও ৬ টির অধিক দরজা রয়েছে। তাছাড়া রান্নাঘর ব্যতিত নিচে তিনটি ড্রয়িং রুম ও দ্বিতীয় তলায় দুটি ড্রয়িং রুম রয়েছে।এই বাড়ির ব্যালকনি সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।বর্তমানে এখনো বাড়িটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ চলমান।

সীতাকুণ্ড উপজেলার মধ্যে নান্দনিক ডিজাইনের কাঠের তৈরি বাড়ি দেখে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বাড়ির মালিক ওমর ফারুক বলেন, ইউটিউবে কাঠের তৈরী বাড়ির ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভিন্ন কিছু করার।আসলে মূলত শখের বশে বাড়িটি করা হয়েছে।পরিবহন খরচ সহ এটির নির্মাণ ব্যয় মোট ১০ লাখ টাকা এবং ধারণা করা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকার মত আরো খরচ হবে।

এটা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছে বিল্ডিং বা সেমি পাকা বাড়ি নির্মাণ না করে কাঠের তৈরি বাড়ি কেনো!আসলে শখের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে বাড়িটি করা হয়েছে এটা হয়তো অনেকেই বুঝবেনা। কিন্তু কেউ কেউ বাড়িটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছে।বাড়ি নির্মাণে বড় ভাইয়েরও অবদানের কথা বললেন ওমর ফারুক।

এলাকাবাসী জানায়,জিবনে অনেক বাড়ি দেখেছি কিন্তু কখনো সরাসরি কাঠের তৈরি বাড়ি দেখিনি।প্রকৃত অর্থে আমাদের মুগ্ধ করেছে।দু’ তলায় কাঠের বাড়ির নকশা বাড়ির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে।বাড়িটি নির্মাণের পর শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *