সরিষাবাড়ীতে পুনঃনির্বাচন এবং ভোট পুনঃগণনার দাবী হেলালের

মাসুদ রানা সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪১,জামালপুর-৪ আসনে ট্রাক প্রতীকে জাল ভোট, রেজাল্ট শিট জালিয়াতি করে ফলাফল, নৌকার এজেন্টদের মারধর, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা- ভাংচুর ও মোবাইলে হুমকি ও চাদা দাবী’র প্রতিবাদ ও পুনঃনির্বাচন এবং পুনঃগণনার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল এর আয়োজনে দিগপাইত -সরিষাবাড়ী সড়কের পৌরসভার শিমলা বাজারস্থ তার ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে ট্রাক প্রতিকের বিজয়ী প্রার্থী সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আজ অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে আপনাদের জানাচ্ছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দুই দুইবারের এমপি আলহাজ্ব আব্দুল মালেক এর আর্দশ কে বুকে ধারন করে কাজ করে আসছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী এবং সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক “নৌকা” এদেশের সিংহভাগ মানুষের আবেগ ও অনুভূতির নাম। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। আমি সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪১, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিলাম। অন্যদিকে আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রিন্সিপাল মো. আবদুর রশীদ শুরু থেকেই নির্বাচনকে প্রভাবিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে হিংসাতœক ও ধ্বংসাত্মকসহ নানা
অপকৌশল গ্রহণ করে আসছিল। নির্বাচনী হলফনামা একটি পবিত্র ও প্রার্থীর সত্যতার দলিল। যেখানে ন্যূনতম মিথ্যা জাতির সাথে চরম বিশ্বাস ঘাতকতা ও দুর্নীতির শামিল। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রিন্সিপাল আবদুর রশীদ নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন বলে আমি পরবর্তীতে জানতে পারি। সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ এর মালিকানাধীন (সিংহভাগ শেয়ারে) কক্সবাজার জেলার নারিকেলি জিঞ্জিরাখ্যাত সেন্টমার্টিনে নামে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে, এটি তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। তথ্য গোপনের মধ্যদিয়ে তাঁর প্রার্থিতা টেকার পর তিনি সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এবং রাজধানীর তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপূর্ণ নেতা হয়েও নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং দলের মধ্যে আভ্যন্তরীন বিরোধ সৃষ্টি করেন। তাঁর সহোদর ছোটভাই সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তেজগাও কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দলের আদর্শ ও শৃঙ্খলা অমান্য করে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ও বড়ভাই (স্বতন্ত্র প্রার্থীর) পক্ষে অবস্থান নেন এবং বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটান। নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিরাগত শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের এনে ট্রাক প্রতীকের পক্ষে অন্যায় প্রভাব বিস্তার করেন। পৌর এলাকার বিএনপি অধ্যুষিত কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে গোপন সমঝোতা ও বিএনপি- জামায়াতের ভোটারদের কালোটাকার মাধ্যমে নিজের পক্ষে জনমত ও ট্রাক মার্কায় ভোট কালেকশন করেন। বেশকিছু কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ট্রাক প্রতীকে নিজেদের পোলিং এজেন্ট ও বহিরাগতের দিয়ে গণহারে ব্যালট পেপারে সিল মারে। চিহ্নিত কয়েকটি কেন্দ্রে ট্রাকের প্রার্থী নিজে একাধিকবার উপস্থিত হয়ে নিজের পক্ষে ব্যালটে সিল মারানো হয়। এমনকি নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের আগমুহূর্তে প্রশাসনিক কারিশমায় ভোটগণনা নয়-ছয় করে ট্রাক প্রতীকে বেশি ভোট দেখিয়ে নৌকাকে পরাজিত করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুষঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রæতি এবং আমার সরলতা, নিরপেক্ষতার সুযোগে অপকৌশলের মাধ্যমে ট্রাক প্রতীক কে বে-সরকারিভাবে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ও নৌকাপাগল মানুষদের এলাকাছাড়া করার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে। বিজয়ী হয়ে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর সর্মথকরা সংঘাতপূর্ণ তান্ডব লিলা চালিয়ে আসছে।
উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী নৌকা সমর্থক অন্ত:ত ৫টি বাড়িঘর, দু’টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠাসহ মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের মারধর এবং লুটতরাজ করে। একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলামের মালিকানাধীন আদ্রা আর এফ কিন্ডারগার্টেন ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। নৌকা সমর্থকদের বাড়িবাড়ি গিয়ে মারধর, বাড়ি ছাড়া হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া ও বনগ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম অক্ষর ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম সোহরাব কে নানা হুমকি সহ নৌকার সমর্থক ৭ জনের বাড়িঘর, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান এর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ও মারপিট ও শাহিনের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থকদের মারধর ও গ্রাম ছাড়ার হুমকি । ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের বাড়িতে হামলা, পিংনা ইউনিয়নের বারইপটল এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও বেশ কয়েকজনকে মারধর। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে হা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *