সরকারি রাস্তা গিলে খাচ্ছে মাছের ঘের_ ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিনজনকে জরিমানা

ইস্রাফিল খান, গোপালগঞ্জ(জেলা)প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাছের ঘেরের কারণে অধিকাংশ রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে_ যাওয়ার পথে। ঘেরের বেড়ি হিসেবে ব্যবহারের কারণে রাস্তাগুলোর এ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে এসব রাস্তার গুনগুনমান ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তাগুলো যেন চাষ করা জমি। মাটি ধসে সরু হয়ে গেছে রাস্তা।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এসব রাস্তা থেকে ছয় ফুট দূরে বেড়ি দিয়ে মাছের ঘের করার জন্য মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও তা মানা হচ্ছে না।

এদিকে সরকারি রাস্তা কে মৎস্য ঘেরের পাড় হিসাবে ব্যবহার করে মাছ চাষ করে জনগণের চলাচলের রাস্তার ক্ষতিসাধন করায় প্রতি জনকে ১০’হাজার টাকা করে তিন জনকে ৩০’হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উপজেলার পিঞ্জুরী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সোহেল তালুকদার, ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের আব্দুল হক খানের ছেলে মনির খান পূর্ববর্তী গ্রামের রঙ্গু মিয়া হাওলাদারের ছেলে রফিক হাওলাদারকে এই দন্ড প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি রাস্তা গিলে খাচ্ছে মাছের ঘের। তাদের কাছে তথ্য ছিল, এলাকায় অভিযান চালিয়ে তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে, সরকারি রাস্তা কে মৎস্য ঘেরের পাড় হিসাবে ব্যবহার করে মাছ চাষ করে জনগণের চলাচলের রাস্তার ক্ষতিসাধন করায় মোবাইল কোড আইন ২০০৯ এর আওতায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ২৯১ ধারা মোতাবেক তাদের জরিমানা তিনজনের প্রতিজনকে ১০’হাজার টাকা করে মোট ৩০’হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় তাদের রাস্তা ছেড়ে আবার বেড়ি দিয়ে ঘেরে মাছ চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমাদের এই অভিযান চলমান রয়েছে ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বাতাসে ঘেরের পানিতে ঢেউ ওঠে। তা আছড়ে পড়ে সড়কে। এতে মাটির ক্ষয় যেমন ঘটছে, তেমনি রাস্তার গুণাগুণও নষ্ট হচ্ছে। রাস্তা ধসে যাচ্ছে। যদি আপনার নজরে পড়ে তাহলে আমাদের জানাবেন আমরা তৎক্ষণাৎ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *