শেখ হাসিনাকে ভোট দিলে তিস্তার সমস্যা থাকবে না, সমাজকল্যান মন্ত্রী

মিজানুর রহমান মিজান

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, দীর্ঘদিনের যে সমস্যায় চরবাসী ভুগছে এই সমস্যা আর থাকবে না। শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে হবে। এক কথায় নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। তাহলে তিস্তার সমস্যা থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ভোটমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ তলাবিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র উদ্ভোধন শেষে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী এক সময় বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে উঠবে। সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় চেষ্টা করে তর অঞ্চলের মানুষকে ভালো রাখার। ইতিমধ্যে জেনেছেন রংপুর টু ঢাকা ৪ লাইন সড়কের উদ্বোধন করেছেন। সেটি চালু হলে উত্তর অঞ্চল মানুষের আর কষ্টই থাকবে না।

মন্ত্রী আরো বলেন, এক শ্রেণির মানুষ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠি করে দেশের শান্তি বিনষ্ট করার পায়তারা করছে। নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠির চেষ্টা করছে। যাতে কোন ভাবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে না পারে সেজন্য বিশৃঙ্খলাকারী বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

সসাজকল্যান মন্ত্রী বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বুক উচু করে নৌকায় ভোট দিবেন। কেউ বাঁধা দিলে প্রশাসন থাকবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও থাকবে। কেউ বাঁধা দিতে পারবে না প্রশাসন বেশ আন্তরিক রয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দিনে নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গুবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত করেছেন। আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন। তবেই উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকবে।

পুজায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আপনা নির্ভয়ে পুর্জা আর্চনা করে দেশ ও জাতির কল্যানে প্রার্থনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে আর্শিবাদ কামনা করেন মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জহির ইমাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ফেরদৌস আলম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইমতিয়াজ কবির প্রমুখ।

এছাড়াও আলোচনা শেষে মন্ত্রী প্রতিটি মন্ডপের সভাপতির হাতে জিআর চাউলের চেক ও নিজস্ব তহবিলের অনুদান প্রদান করেন। উপজেলার ১১৬টি মন্দিরে ৫ শত কেজি হারে ৫৮ মেঃটন জিআর চাল বিতরন করা হয়। মন্ত্রী নিজস্ব তহবিল থেকে মন্দির প্রতি আড়াই হাজার টাকা প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *