লালমনিরহাটে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা!

এ,এল,কে খান জিবু , জেলা প্রতিনিধি (লালমনিরহাট):

রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কৃষি) সুবল কুমার সরকার জানান, রোববার সকালে লালমনিরহাটে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুধু লালমনিরহাটেই নয়, এটি এ বছর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে এই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা আবহাওয়া অফিসের।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার সকালে লালমনিরহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের তাপমাত্রাও এক।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা জেলা। দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহনগুলো।

রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কৃষি) সুবল কুমার সরকার জানান, রোববার সকালে লালমনিরহাটে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুধু লালমনিরহাটেই নয়, এটি এ বছর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ আবহাওয়া ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত থাকবে।

শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এদিকে শীতের কারণে আলু চাষিরা পড়েছে চরম বিপাকে। প্রচণ্ড শীতে আলুর ক্ষেতে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ-বালাই।

মাটিকাটা শ্রমিক আবদুর রহিম বলেন, ‘আজকে অনেক শীত। কোন কাজ করতে পারতেছি না। শীত একদম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়তেছে। আমরা ঠান্ডায় বার হইতে পাইতেছি না। কি করি খাম। কাজ না করলে ত বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়ি। মাটি কাটার কাজ করতে যাই। দেখি কোদাল চোটপার পাই কি না।

 

আরেক শ্রমিক ফুলচান মিয়া বলেন, ‘খুব ঠান্ডা আইজ। মনে হয় আইজ সব থাকি বেশি ঠান্ডা। তাও কাজত বের হইন আল্লাহ ভরসা। রাজ মিস্ত্রির কাজ বাবা। এ সাইকেলত যাবার লাগছি প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরত।

অন্যদিকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, ‘জেলা সদর হাসপাতালসহ পাঁচটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা যাথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *