সুমিত সরকার উদয়
ফুলপুর(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে ইংরেজি নববর্ষ কে বরণ করতে আতসবাজি ও ফানুস দিয়ে পালন করা হয় বছরের প্রথম দিন’কে। তবে আতসবাজি ও ফানুস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে পরিবেশ। যার ফলে সৃষ্ট হয় শব্দ দূষণ বায়ু দূষণের মত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূষণ। এমনকি অগ্নিসংযোগ এবং দুর্ঘটনার বিষয়টা এমন হবে। আরো জানা যায় বিগত দিন দিনগুলোতে শিশু মারা গেছে অনেক জায়গায় পাখি মরে থাকতে দেখা গেছে, সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে যেন এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে, ইহা পরিবেশের জন্য খুব মারাত্মক ক্ষতির বিষয় যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি’র জন্যে নানা মুখি কার্যক্রম গ্রহন করে র্যাপিড রেসপন্স বিডি।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়;- ময়মনসিংহ, গাজীপুর,নোয়াখালী, ঢাকা ( মিরপুর) সহ দেশের ৬ টি জেলার ভিন্ন ভিন্ন স্পর্টে ১৯ টি ক্যাম্পেইন পরিচালনা ও লিফলেট বিতরণ সহ ৮ জনের জেলা প্রশাসকের নিকট সরাসরি চিঠি ও সকল জেলা প্রশাসকদের ই-মেইল করে পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানানো হয়েছে।৯ জন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।১৩ জন অফিসার ইনচার্জের নিকট চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। ২৩টি জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের সম্পাদক / বার্তা প্রধানের নিকট অফিসিয়াল চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদিক, সমাজকর্মী, প্রতিষ্ঠান প্রধান সহ বিভিন্ন প্রেশাজীবি ও সমাজের নেত্রী স্থানীয়দের চিঠি দিয়ে তার অধিনস্ত এলাকায় ও জনগোষ্ঠীতে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানায় র্যাপিড রেসপন্স বিডি ।
ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে সচেতনতা মূলক প্রচারণা কার্যক্রম সমান্তরালে অব্যহত রয়েছে বলেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাসফিক হক নাফিও। তিনি আরো জানান ‘সেই প্রচেষ্টার প্রথম সফলতা ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছন। এবং ১ হাজারের বেশি মানুষ আতশবাজির ব্যবহার বন্ধ করবেন বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন’
এছাড়াও র্যাপিড রেসপন্স বিডি এর জান্নাতুল নাঈম চঞ্চল (সাধারণ সম্পাদক) বলেন আতসবাজি ও ফানুস উৎসব থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আগে নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে হবে। তাই সংগঠনের পক্ষ হতে একটি প্রকল্প বা প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয় যেখানে একটি কুপন বা প্রতিশ্রুতি পত্র জমা দিলে এবং তা রক্ষা করতে পারলে স্মার্ট ফোন সহ বিভিন্ন উপহার জিতে নিতে পারবে প্রতিশ্রুতিকারী।
প্রজেক্টটি সফল করতে সর্বাত্তক সহযোগিতা করে মোঃ রায়হান আকন্দ
(পরিচালক, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ) খাইরুল ইসলাম(প্রজেক্ট লিডার
আতশবাজি বিষয়ক সচেতনতা প্রকল্প) মো মোকরামিন বিল্লাহ রুপক
(সদস্য,রেপিড রেসপন্স বিডি) সহ বিভিন্ন স্তরের স্বেচ্ছাসেবী প্রমুখ।