রামেক হাসপাতালে মায়ের রিপোর্টের তথ্য জানতে চাওয়ায় ছেলেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নির্যাতন!

রামেক হাসপাতালে মায়ের রিপোর্টের তথ্য জানতে চাওয়ায় ছেলেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নির্যাতন!

 

 

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রোগীর এক স্বজনকে ব্যাপক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

মায়ের রিপোর্টের সঠিক তথ্য জানতে চাওয়ায় ডেকে নিয়ে ছেলেকে বেধরক পেটিয়েছেন ইন্টার্নরা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রামেক হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে নিজেদের কক্ষের ভেতর ডেকে নিয়ে ওই ছেলেকে এলোপাতাড়ি পেটান কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক।ভুক্তভোগীর নাম সুমন পারভেজ। মহানগরীর বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি মাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। আজ বুধবার (৭ জানুয়ারি) সকালে মায়ের একটি রিপোর্টের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছে জানতে চাইলে তারা একেকবার একের রকমের তথ্য দেন।

সুমন বলেন,এই বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা আমাকে তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে নিয়ে যান এবং এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এ সময় আমি ‘আর মাইরেন না স্যার, আর মাইরেন না স্যার’ ‘ও মা ও বাপ’ বলে তাদের কাছে কাকুতিমিনতি করলেও ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তা শোনেননি। তারা যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবেই আমাকে মারধর করতেই থাকেন এবং নির্যাতনের পর আমার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়ার জন্য বলেন এবং অকথ্য ভাষা গালাগালি করেন।

এদিকে ওই ছেলের চিৎকার শুনে পরে হাসপাতালে আনসার সদস্য গিয়ে তাকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাত থেকে রক্ষা করেন। পরে ভুক্তভোগী যুবক বিচারের দাবিতে হাসপাতাল পরিচালকের দ্বারস্থ হন।

এদিকে সেই নির্যাতনের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ওই ভিডিওটি দেখে সবাই এমন ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট ইন্টার্ন চিকিৎসকদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন।তবে ওই ভিডিও চিত্রে যাদেরকে মারতে দেখা যায় তাদের নাম এখনও জানা যায়নি

রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। ওয়ার্ডও পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *