পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস পরিচালকের কার্যালয়ে এমপিকরণের নামে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ,নগরীর অবৈধ সুদ ব্যবসা বন্ধ,মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বিএমএসএস সদস্যকে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি রাজশাহী মহানগর ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় রাজশাহী প্রেসক্লাব চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন,রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান।সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম-উদ-দৌলা।মানববন্ধনে সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন,রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস পরিচালকের কার্যালয়ে এমপিকরণের নামে ঘুষ দূর্নীতি বন্ধ ও নগরীর অবৈধ সুদ ব্যবসা বন্ধ করে দোষী মায়াকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।মোঃ গোলাম জাকি বলেন, আমি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি মহানগরের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান। আমাদের পরিবারকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে সন্মানহানি ও হয়রানি করছে প্রতারক,সুদ ব্যবসায়ি মোসাঃ মায়া বেগম ও তার স্বামী শরিফুল ইসলাম।মোঃ গোলাম জাকি আরও বলেন,তাসনুভা ফেরদৌস আমার স্ত্রী একজন সহজ সরল শিক্ষিত ব্যাংকার। তাসনুভা ফেরদৌসের মা নওবাহার আমার শ্বাশুড়ি মা একজন নারী উদ্যক্তা। তাসনুভা ফেরদৌসের মা নওবাহার এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত লিপি ও নাহিদা নাসরিন নিলা নামীয় অপর দুই নারীর উদ্যোক্তার মাধ্যমে মোসা: মায়া বেগমের সাথে তাসনুভা ফেরদৌস ২০২২ইং সালে পরিচয় হয় এবং পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমার “বাইকারস্ ওয়ার্ল্ড” নামের মোটরসাইকেলের পার্টস ক্রয়-বিক্রয়কারী ব্যবসায়ী শো-রুম আছে। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ডিসেম্বর -২১ইং সালের দিকে হড়গ্রাম শাখার পূবালী ব্যাংক থেকে ২০,০০,০০০/=(বিশ লক্ষ টাকা) সিসি লোন নেয় এবং পরবর্তীতে ব্যবসা ক্ষেত্র বাড়ানোর পদক্ষেপ নিলে,মোসা: মায়া বেগম বিষয়টি জানতে পেরে বলে যে, আমরা ব্যক্তি ও উদ্যোক্তাদের অন্য কোনো কাগজ পত্রের ঝামেলা ছাড়াই নাম মাত্র শুধু একটি ফাঁকা চেক রেখে ইনটারেস্টের উপর লোন দিয়ে থাকি এবং লোন পরিশোধ শেষে চেক ফেরত দেই। এই ভাবে মায়া বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। আমার টাকার জরুরি প্রয়োজন হওয়ায় মায়ার উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রেখে, মায়ার নিকট জামানত স্বরূপ বেসিক ব্যাংক লিমিটেড এর তাসনুভা ফেরদৌস নামীয় আমার স্ত্রীর একটি ফাঁকা চেক (যাহার চেক নং-SBA 2116273, একাউন্ট নং-০৩১৪০১০১১১৬০)প্রদান করি, জুন -২০২২ইং এর দিকে ৭,০০,০০০/=(সাত লক্ষ) টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করে, যা পরবর্তী চার মাসের মধ্যে সুদসহ ১০,০০,০০০/=(দশ লক্ষ) টাকা প্রদান করবো এই মর্মে মৌখিক ভাবে কথা হই।উক্ত কথামত মায়ার কাছে ৭,০০,০০০/=(সাত লক্ষ)টাকা গ্রহণ করি,এবং মৌখিক কথা মত পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে প্রতি কিস্তি ৫,০০,০০০/=(পাঁচ লক্ষ) টাকা করে দুই কিস্তিতে মোট ১০,০০,০০০/=(দশ লক্ষ) টাকা তাসনুভা ফেরদৌস মায়াকে প্রদান করবে,যা তিনটি একশত টাকার স্ট্যাম্পে গত ২৭/১২/২২ইং তারিখে লিখিত আকারে সাক্ষীসহ স্বাক্ষর করা আছে। পরবর্তীতে তাসনুভা ফেরদৌস ২ কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করে দেন। তাসনুভা তার বেসিক ব্যাংকের চেকটি চাইলে মায়া বলেন চেকটি হারিয়ে গেছে। মায়ার সাথে পারিবারিক সম্পর্ক ভালো হওয়ায় চেকটি আর ফেরত নেয়নি।
আমার স্ত্রী তাসনুভা ফেরদৌস ২০২৩ইং সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে সিটি ব্যাংকের সাহেব বাজার শাখার যাহার হিসাব নং- ২২২৩৪৪৮৫৯০০০১ চেক বইটি সম্পূর্ণ হারিয়ে যায়। চেক বইটি আমার স্ত্রী কর্মস্থলে প্রয়োজন হয় বলে ব্যাগের মধ্যে রেখে দেয়। আমি ১১ই জানুয়ারী ২০২৩ইং সালে দিকে হারিয়েছে মর্মে রাজপাড়া থানায় একটি জিডি করি,যাহার জিডি নং(৯৯৫, তাং ১৬/০১/২৩)সাথে আমি সোনার দেশ পত্রিকায় ১৯/০১/২৩ তারিখে একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি দেয় ও সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্ট ক্লোজ করায়।মায়া কিছু দিন পরে আমার স্ত্রীকে বলে তোমার যে চেক বই হারিয়ে গেছে,সেই চেক বই আমি তোমার ব্যাগ থেকে চুরি করেছি। মায়া আমার স্ত্রীকে বলে চেক বই নিলে তুমি আমার বাসায় আসো। তখন নিরুপাই হয়ে আমার স্ত্রী গত ২৭/০২/২৩ইং তারিখে আমার আট বছরের সন্তান রাফসানকে সাথে নিয়ে মায়ার বাসায় যায়। পরে তাদেরকে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। উল্টো আমাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়েই যাচ্ছে। আমরা নিরুপায় হয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের কাছে সাহায্য চাই।এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান,রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলা,সমাজ উন্নয়ন কর্মী কাজী রবিকউদ্দীন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, মহানগর সভাপতি সাগর নোমানী,সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম ফয়সাল সরকার,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল ইসলাম সামু, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পাভেল ইসলাম,প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সিহাবুল আলম,সদস্য মো:বাবলু আলী, আসাদুজ্জামান তুহিন,আইয়ুব,জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান,২৫ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক ইউসুফ আলী,১৩ নং ওয়ার্ডের নেতা রাতুল সরকার, ফুটপাত ব্যবসায়ী নেতা আইয়ুব আলী তালুকদার সহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি রাজশাহী মহানগর। এসময় নগরীতে সুদ কারবারী ও প্রতারক মায়াকে ০৭ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।