পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো:
দরজায় কড়া নাড়ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে রাজশাহীর সাহেববাজারে কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে। দুর্গাপূজার হতে বেশি দিন না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে বাজারে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন,পূজার ১০ দিন বাকি। তাই বিক্রি তেমন নেই। শাড়ি-কাপড় অল্প বিক্রি হচ্ছে। তবে ছিট কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। আরো কয়েকটা দিন গেলে বিক্রি বাড়বে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সাহেববাজারে গিয়ে দেখা গেছে,হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের পূজার সামগ্রী কিনতে। বাজারের বিভিন্ন কাপড়ের দোকান,শাড়ির দোকান,জুতা ছাড়াও নানান প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে দেখা গেছে।
পূজার শাড়ি কিনতে আসা শ্রী অল্পনা রায় বলেন,পূজার আর বেশি দিন নেই। তাই আগেই শাড়ি কিনে নিচ্ছি। একই সাথে পরিবারের অন্য সদস্যদের পোষাক কিনেছি। এরপরে আস্তে আস্তে পূজার অন্য জিনিসপত্রগুলো কিনবেন তিনি। কেননা একসাথে সবকিনতে গেলে সমস্যা হয়। তাই কিছু কিছু করে কিনে রাখছি। পূজার বিভিন্ন সামগ্রী কিনবো মহালয়ার আগে।
শ্রী তপন কুমার বলেন,শাড়ি-কাপড়গুলো আগে কিনে নিলাম। নতুবা পরে মার্কেটে ভিড়ের মধ্য কিনতে হয়। এতে করে ঠিকঠাক জিনিস কিনতে সমস্যা হয়। আবার দামও বেশি পড়ে। তাই আগেই শাড়ি-কাপড়গুলো কিনে নিচ্ছি। একই সাথে সম্ভব হলে জুতা,স্যান্ডেলও কিনে নেব। আর পূজার দুই-একদিন আগে প্রসাদসহ অন্য জিনিসপত্র কিনবেন বলে জানান তিনি ।
শ্রী আশীষদে অর্পণ বলেন, বাজার ঘুরে ফাঁকা ফাঁকাই মনে হলো। বাজার ঘুরে পোষাকের দাম মোটামোটি মনে হচ্ছে। তবে পূজার কয়েকদিন আগে কেমন দাম হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। কারণ সে সময়টা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকবে দোকানগুলোতে। তাই দাম বেশি হতে পারে। এছাড়া পূজার ৮ থেকে ১০ দিন আগে জিনিসপত্র কিনলে নতুন ডিজাইনের পছন্দমত জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
সাহেববাজার কাপড়পট্টির সাহেব আলী শাড়ি বিক্রেতা আলহাজ্ব আবুল কালাম সাহেব আলী বলেন,পূজার এখনও ১০দিন বাকি আছে। তাই পূজার কেনা-বেচা এখনও জমেনি। তবে বিক্রি হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা তাদের পছন্দের শাড়ি কিনছেন। আশা করা যাচ্ছে আরো পাঁচ থেকে ছয়দিন পরে জমবে কেনাবেচা।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন,এখন বিক্রি হচ্ছে,তবে তুলনায় কম। পূজার একসপ্তা আগে পুরোদমে শুরু হয় কেনাবেচা। আশা করা যাচ্ছে, আরো ৫ থেকে ৬দিন পরে জমবে কেনাবেচা।