মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) সংবাদদাতা :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শসা তুলতে বাধা দেওয়ায় কৃষকের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সোমবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে বাহাম গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া (৩৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে পিয়াস (১৮) ও কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত লোকমান মিয়ার ছেলে শরিফ আকন্দ (২১) কে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে মোহনগঞ্জ থানায় প্রেরণ করে। হামলায় রফিকুলের ভাতিজা আল ফারুক, সবুজ মিয়া ও ফুলচানসহ ৯জন আহত হন। ভুক্তভোগী কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেলে পাশের বাহাম গ্রামের ফারুক, রফিক ও রাহুলসহ কয়েকজন আমাদের খেতের শসা অনুমতি ছাড়াই তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় আমার ভাতিজা আল ফারুককে পিটিয়ে জখম করে। সোমবার সকালে ফের তারা ৩০/৪০ জন দল বেঁধে বাড়িতে এসে হামলা চালায়। রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। দরজা জানালা ভাঙচুর চালিয়ে আলমিরাতে থাকা দুই লাখ টাকাও নিয়ে যায়। এ সময় আরও ৭জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি। রফিকুলের ভাই আ. আলীম বলেন, কিছু না বলেই তারা আমাদের শসা নিয়ে যাচ্ছিল। বাঁধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। সকালে বিশাল দল বেঁধে এসে বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরের দরজা-জানালা, আসবাবপত্র, ফ্রিজ ও ট্রাক্টর মেশিন ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম ৩ জন আটকের স্বীকার করে বলেন, আমি পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেনাবাহিনীও খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।