মেহেরপুরের মুজিবনগরে জোরপূর্বক জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের মুজিবনগরে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করে রাস্তা নির্মাণের পাঁইতারা করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি নিজের জমির উপর লাগানো মেহগনি গাছ জোর করে কেটে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করছে তারা। গত শুক্রবার বিকেলে দারিয়াপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার তাঁরা মিয়ার নেতৃত্বে গোপীনাথপুর গ্রামের রিফাজ উদ্দিন কারিগরের ছেলে আরিফ কারিগর, কিপাজউদ্দিন কারিগরের ছেলে তুহিন কারিগরসহ আরও কয়েকজন মিলে এ কাজ করছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
গোপীনাথপুর গ্রামের কারিগর পাড়ায় সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের পিজির উদ্দিনের ছেলে শাহজানুর, আব্দুর রশিদ এবং মেয়ে মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের সাদেক আলীর স্ত্রী হাফিজা খাতুন এর নামে রেকর্ডীয় জমির গাছ জোরপূর্বক কেটে জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করেন সাদেক আলীর স্ত্রী হাফিজা খাতুন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির একটি কদম গাছ এবং ৮ টি মেহগনি গাছ কেটে তারের বেড়া সরিয়ে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে মুজিবনগর থানায় মামালা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানাগেছে।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাবেক ইউপি সদস্য তারা মিয়া জানান, রাস্তা বের করার বিষয়টি বর্তমান মেম্বার, চেয়ারম্যানসহ গ্রামের সবাই জানে, রাস্তা বের করার বিষয় নিয়ে গোপীনাথপুর মসজিদ কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, গোপীনাথপুর ক্লাব কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সবাই জানে এ নিয়ে গ্রামের মসজিদের মাইকে মাইকিং করা হয়েছে এবং শুক্রবারে জুম্মার পরে রাস্তা বের করার জন্য সবাইকে বলা হয়েছে। গ্রামের সবাই মিলে জনস্বার্থে রাস্তাটি বের করা হয়েছে। এটি আমার একার কোন বিষয় নয়। তাছাড়া রাস্তা বের করার সময় যে গাছগুলা রাস্তার মধ্যে পড়েছিল গাছগুলো ওই জমির যে রক্ষণাবেক্ষণ করে সে নিজেই কেটেছে। যে পরিমাণ জমি রাস্তায় গিয়েছে সেই পরিমাণ জমি জমির মালিক কে অন্য জায়গায় বুঝিয়ে দেওয়া হবে অথবা তাকে জমির ন্যায্য মূল্য পরিষদ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানান, গাছ কেটে জোরপূর্বক রাস্তা বের করার বিষয় নিয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কে ডি আনোয়ার হোসেন
মোবাইলঃ ০১৯১১ ৪০৪৮৭৯