মুজিবনগরে চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ ৫ জন আটক

ফিরোজ রহমান স্টাফ রিপোর্টার:

মুজিবনগরে চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ ৫ জনকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলমের দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলায় আসামীদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,মুজিবনগর উপজেলা  ছাত্রলীগের (সাবেক)  সভাপতি মহাজনপুর গ্রামের আ:সাত্তারের ছেলে হেলাল উদ্দীন লাভলু,বিশ্বনাথপুর গ্রামের আইয়ুব আলী ছেলে আব্দুস সালাম, ও একই গ্রামের মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে বাহালুল ইসলাম, দারিয়াপুর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম এবং কোমরপুর গ্রামের আলিহিম মন্ডলের ছেলে আজিজুল হক ভটু।
ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে ২ তারিখ বুধবার দিবাগত রাতে মুজিবনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের বামনপাড়া বাজারে রফিক কার ওয়াশ ও ভলকানাইজিং ওয়ার্কসপ ছিল। টাকার প্রয়োজনে ওয়ার্কসপটি গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে খোরশেদ আলম বামন পাড়া গ্রামের মৃত মোকসেদ মির এর ছেলে মারুর নিকট ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে। এই বিষয়টি আসামিগণ জানতে পেরে গত এপ্রিল মাসে ৩০ তারিখ আনুমাসিক রাত আটটার দিকে মামলায় উল্লেখিত আসামিগণ সহ আরো ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা লোক বিভিন্ন দেশিও অস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্র সহ খোরশেদ আলমের বাড়িতে ঢুকে তাকে ঘিরেধরে হত্যার হুমকি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাকে  প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। প্রাণ ভয়ে খরশেদ আলম ঘরে থাকা ৫ লক্ষ টাকা আসামিদের দিয়ে দেয়। ৫ লক্ষ্য টাকা পেয়ে আসামিগণ এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে আসে। সেই সময় ঘটনার বিষয়ে খোরশেদ আলম মুজিবনগর থানায় এটি অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে অভিযোগটি গ্রহণ করেনি। একথা জানতে পেরে পুনরায় আসামিগণ খোরশেদ আলম কে হত্যার হুমকি দিলে তিনি প্রান ভয়ে আদালতেও মামলা করেনি। বর্তমানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার কারণে ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি এই মামলা দায়ের করেন বলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাইফুল আলম জানান, খোরশেদ আলমের দায়েরকিত মামলায়  অভিযান চালিয়ে
এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *