নুর হোসেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
মিরসরাইয়ের অন্যতম সেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা জাগ্রত প্রতিভার আয়োজনে ১১তম জাগ্রত প্রতিভা মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের হিঙ্গুলী বাজারস্থ সংগঠনের সার্বিক তত্বাবধানে উক্ত মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মিরসরাই, ছাগলনাইয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসা’র ১৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। সকাল সাড়ে দশটা থেকে ৪ টি পরীক্ষা কেন্দ্র যথাক্রমে- হিঙ্গুলী মানবিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব হিঙ্গুলী মোহাম্মদীয়া কমপ্লেক্স, মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয় ও মিঠাছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৯ টি হলরুমে সংগঠনের সদস্য ও ১ জন শিক্ষক সহ ০২ জন করে ৬০ জন পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করে।
পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন গুলশান আরা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোঃ ঈসমাইল, ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া, ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন, জাগ্রত প্রতিভার উচ্চ পরিষদের সদস্য নুর-উস সোবহান, মোশাররফ হোসেন, আবুল হোসেন, ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিম উদ্দিন, মিঠাছরা আইডিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা দীন মোহাম্মদ রানা, সাংবাদিক এম. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
উক্ত মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামশেদ আলম, মিঠাছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল করিম, হিঙ্গুলী মানবিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেবুন্নেছা লাভলী মোহাম্মদীয়া কমপ্লেক্সের সুপার সুফী আহমদ উল্ল্যাহ কেন্দ্র সচিব এবং খিল হিঙ্গুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবু অসীম দত্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কার্যকরী কমিটির সভায় মেধাবৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ০৮ অক্টোবর থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়ে ০২ নভেম্বর শেষ হয়।
জাগ্রত প্রতিভার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা ভূঁইয়া জানান, ১৯৯৭ সালের ৪ এপ্রিল মাত্র ২০ জন সদস্য নিয়ে উক্ত সংগঠন যাত্রা শুরু করে এবং ২০০৪ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন (নং-২৬২২) লাভ করে। যাত্রা শুরুর পর থেকে জাতীয় দিবস পালন, বিভিন্ন সময়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, বার্ষিক ক্রীড়ার আয়োজন, গরীবের মেয়ের বিয়ের জন্য অনুদান প্রদান সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে আসছে। ২০১১ সাল থেকে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা চালু হয়। জাগ্রত প্রতিভার কার্যকরী পরিষদ ও সকল সাধারণ সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১১ তম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।