মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের রসুলপুরে মিনারা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ঘটনায় মিনারার ভাইয়ের দায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মাধবপুর থানার এসআই দ্বীন মোহাম্মদ প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামকে রবিবার দুর্লভপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। রফিকুল ইসলাম দুর্লভপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে।১৮ আগস্ট রাতের কোনো একসময় সকলের অগোচরে মিনারা তার পিত্রালয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নেয়।
মিনারা রসুলপুর গ্রামের নুর উদ্দিনের মেয়ে।কয়েক বছর আগে বহরা ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়।তানিশা নামে মিনারার ৭ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।স্বামী রফিকুল ইসলামের সাথে মিনারার বনিবনা হচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন তার পিতা নুর উদ্দিন ।
গত ৭ মাস ধরে মিনারা বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।ঘটনার কিছুদিন আগে স্থাণীয় মুরুব্বীদের মধ্যস্থতায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যেকার ভুল বুঝাবুঝির সমাধান হলে মিনারা স্বামীর বাড়িতে ফিরে গেলেও ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে মেয়ে তানিশাকে সাথে নিয়ে আবার বাবার বাড়িতে (রসুলপুর) চলে আসে।১৮ আগস্ট রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়েন মিনারা।সকালে ঘরের আড়ার সাথে মিনারার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।খবর পেয়ে মাধবপুর থানা পুলিশের এসআই দ্বীন মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মিনারার পিতা নুর উদ্দিন দাবি করেছিলেন তার মেয়ে স্বামীর অত্যাচারে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিনারা খাতুনের ভাই মোঃ ফরাশ উদ্দিন বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় রফিকুল ইসলামের পিতা শামসুল ইসলাম মাতা নাসিমা খাতুন ও রসুলপুর গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে সাথী আক্তারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।অপর আসামীরা পলাতক বলে এসআই দ্বীন মোহাম্মদ জানিয়েছেন।
মাধবপুর থানার ওসি মোঃ রকিবুল ইসলাম খান জানিয়েছেন পলাতক আসামীদের ধরতে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক খান মো সাইফ উদ দৌলা শাওন কর্তৃক প্রকাশিত।
নির্বাহী সম্পাদকঃ খ ম সাইফুল হাবিব সজিব,
সারা দেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে বিস্তারিত জানতেঃ whatsapp +8801717165415
Copyright © 2024 দৈনিক ভোরের প্রতিধ্বনি. All rights reserved.