মোঃ আসাদুজ্জামন
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া নেহাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষকদের অনিয়ম তুঙ্গে। যার ফলে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী প্রায় শুণ্যের কোঠায় চলে এসেছে। অথচ এ প্রতিষ্ঠানে ১২ জন শিক্ষক, ১ জন অফিস সহকারি ও ৪ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পেছনে সরকার প্রতি মাসে খরচ বহণ করছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এটাকে নেহাত রাস্ট্রীয় অর্থ অপচয় বলছেন সকলেই।
সরেজমিনে সকাল সাড়ে ১১ টায় গিয়ে ওই মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। ১৭ শিক্ষক— কর্মচারীদের মধ্যে ২ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে এ মাদ্রাসায় সবোচ্চর্ ২০ জন শিক্ষার্থী লেখাপাড়া করছে। শিক্ষকদের অনিয়মিত পাঠদান, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বহু বছর আগেই ঝড়ে পরেছে শিক্ষার্থীরা, ভেঙে পরেছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
ইবতেদায়ী প্রধান মোঃ মনিরুজ্জামান প্রথমে দাবী করেন তাদের ৬০ জন শিক্ষর্থী রয়েছে। হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে অপ্রস্তুত হয়ে পরেন। কতজন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি ২২ জনের কথা বললেও মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থীর খাতা দেখাতে পেরেছেন।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মোঃ আনিসুর রহমানকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে তার সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বাদশা মাদ্রাসার দৈন্যদশার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসাটি স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল খায়ের এর মুঠোফোনে একাধিক কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।