মঠবাড়িয়ায় খাল দখলের মহোৎসব দেখার কেউ নেই

মোঃ আসাদুজ্জামান মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ব্যাপী দীর্ঘ দিন ধরে চলছে খাল দখলের মহোৎসব। এতে খাল সংকুচিত হবার পাশাপশি নব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ খালগুলো খননে ব্যায় হবে রাস্ট্রীয় অর্থ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মঠবাড়িয়া প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার বহেরাতলা এলাকায়, দক্ষিণ বন্দর স্লুইজগেট— পিয়াজহাটা, হাসপাতাল সম্মূখ খালে ১ কিলো মিটার, দক্ষিণ বন্দর স্লুইজগেট—আন্দারমানিক দেড় কিলো মিটার, মঠবাড়িয়া—গুলিশাখালী, মঠবাড়িয়া—সাপলেজা সড়কের খালেরপাড় এলাকা প্রভাবশালীরা দখল করে কয়েক শহ¯্রাধিক পাকা স্থাপণা নির্মাণ করেছেন। এদিকে উপজেলার সাপলেজা বাজারের পশ্চিম অংশে আলিশ্যার মোড় এলাকায় খাল দখল করে শতাধিক পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে সাপলেজা ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজারে, মিরুখালী, বড় মাছুয়া, তুষখালী ইউনিয়নের জানখালী বাজারে, গুদিঘাটা বাজারে, হলতা গুলিশাখালী, আলগী পাতাকাটা বাজারসহ উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় খালের দু‘পাশ দখল করে প্রভাবশালীরা কাচা—পাকা স্থাপনা নিমার্ণ করেছেন। মাঝেমধ্যে সচেতন মহল স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করলের কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীরা খালের পাড় দখল করে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িসহ নানা পাকা স্থাপনা নিমার্ণ করেছেন এবং অব্যাহত রাখছে। অপরদিকে খালের দুই তীর সংশ্লিষ্ট জনবসতির ময়লা—আবর্জনা, বর্জ্যসহ অসংখ্য বাসাবাড়ির শৌচাগারের পাইপ সংযোগ থাকায় খালের পানি মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে। প্রভাবশালীরা যেন দখলের প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছে।

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কমিশনার প্রার্থী আলী হায়দার বলেন, বহেরাতলা তিন খালের মোহনা ভূমিদস্যুরা যে ভাবে খাল ভরাট দিয়ে দখল করে পাকা স্থাপনা নিমার্ণ করছে এতে মনে হচ্ছে এদের বাপ দাদার সম্পত্তি। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শণ করছি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অদুর ভবিষ্যতে এখানে খাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, সরকারী খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে রহস্য জনক কারনে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এই খাল চারটি বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে।

পৌর প্রশাসক মো. আরিফ উল—হক ক্ষোভের সাথে বলেন, সম্প্রতি পৌর শহরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৬ টি দোকান পুরে ছাই হয়ে যায়। অবৈধ দখলদারদের কারনে পানি সরবরাহ করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মি ও সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়েছে। তিনি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালের পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতি ফেরাতে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পিরোজপুর জেলা পরিষদ সদস্য (মঠবাড়িয়া) অধ্যক্ষ মোঃ আজীম উল হক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার ততটা ধারণা ছিলোনা। সামনের জেলা পরিষদ সভায় বিষটি উত্থাপন করা হবে এবং কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *