ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

আজ ১১/৯/২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মুক্তমঞ্চে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, হাসিনাকে হটিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়েছি। কিন্তু তার ম্যাকানিজম এখনো আছে। তার সাঙ্গপাঙ্গরা এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ- এটা আমরা দূর করতে চাই।

আব্দুল কাদের আরও বলেন, পাশের রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে ন্যায্য ও সমতার। তবে কোনো ধরনের নতজানুর সম্পর্ক হবে না।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যেকের পরিবারে একটি করে চাকরি দেওয়া হবে।
এনিয়ে ফাউন্ডেশন গঠন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই ফাউন্ডেশন থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
উক্ত মতবিনিময় সভা বিকেলে সমন্বয়ক হামযা মাহমুদের সঞ্চালনায় শুরু হলে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলী আহমাদ আরাফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক জিয়া উদ্দিন আয়ান, নিহতদের পরিবারের পক্ষে সাইদুর রহমান, শাহজাহান মোল্লা, ইসরাত জাহানসহ আরও অনেকেই।
জিয়া উদ্দিন আয়ান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভারতের কাছে আর মাথা নত নয়। এটা ছাত্রদের প্রতিনিধির সরকার। এ সরকারের প্রতি আমাদেরকে আস্থা রাখতে হবে। আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর আগে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা যে গর্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাকে বের করে এনে ফাঁসি দিতে হবে। এজন্য সরকারকে আমাদের চাপ দিতে হবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদেরকে এব্যাপারে চাপে রাখতে হবে। প্রয়োজনে আবারও আন্দোলনে নামতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আন্দোলনের সময় সারাদেশে পুলিশ নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাই এই পুলিশকে ঢেলে সাজাতে হবে। এমনভাবে সাজাতে হবে যেন আগামীদিনে গুলি করা তো দূরের কথা কোনো পুলিশ যেন চোখ রাঙিয়ে কথা বলতে না পারে।
আন্দোলনে নিহত তানজিন মাহমুদ সুজনের বোন ইসরাত জাহান বলেন, পুলিশ নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আমার ভাইসহ ছয়জনকে হত্যার পর পিকআপ ভ্যানে করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যেন চেনা না যায়। পরে তার সঙ্গে থাকা স্কুলের আইডি কার্ড দেখে আমার ভাইকে চিহ্নিত করা হয়। আমি আমার ভাইসহ সকল শহীদদের হত্যার বিচার দাবি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *