সংবাদদাতা: দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
আজ ১৭/৭/২৪ ইং রোজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে নিয়ে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মুখোমুখি অবস্থানে যায় ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারীরা।
সারাদেশে কোটা আন্দোলন কারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে সভা করে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় সভাস্থলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে আন্দোলন কারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহবান জানান।
তবে সভাস্থলের কলেজের সামনে ও কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় অন্তত ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
এর কিছুক্ষণ পরেই শহরের কাউতলী এলাকা থেকে আন্দোলন কারীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি কাউতলী স্টেডিয়াম এলাকা দিয়ে জেলা- দায়রা জজের বাসভবনের সামনে এলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বাধা দেওয়ায় আন্দোলকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন’সহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
কলেজের সামনে সর্বপ্রথম বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থী ফারহানা শারমিন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ব্যানার টেনে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে অপমাণিত করেছে। আমরা কোটার সংস্কারের দাবিতে এসেছি। আমার ভাই ও বোনের শরীরে থেকে যে রক্ত ঝড়েছে তার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো বাঁধা দেয়নি। তাদের কোনো দাবি থাকলে তা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দিতে বলেছি। কিন্তু তাদের হামলায় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চলছে।