এন্ড্রো এিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি
তিন পাবর্ত্য জেলায় পাহাড়ি জীবন মান হচ্ছে বিশেষ জুমের উপর নিভর্রশীল। জুম চাষ এমন একটা কৃষি কাজ তিন পাবর্ত্য জেলা সাথে যা সমতল কৃষি চাষাবাদের পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন ও আলাদা। জুম চাষ” বিশেষ শব্দে “ঝুম চাষ” নামেও পরিচিত। “ঝুম চাষ” এক ধরনের স্থানান্তরিত কৃষিপদ্ধতি। এটি মূলত জঙ্গল কেটে পুড়িয়ে চাষ করা হয়, আবার সেই স্থানে জমির উর্বরতা কমে গেলে পূর্বের স্থান হতে কৃষি জমি স্থানান্তরিত করে অন্যত্র আবার কৃষি জমি গড়ে ওঠে। পাহাড়ের গায়ে ঢালু এলাকায় জুম চাষ করা উওম ও উপযোগী। এই পদ্ধতির চাষে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। পাবর্ত্য অঞ্চলে বসবাসকারী পাহাড়িদের আদি পেশা জুমচাষ। জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি পরিবারগুলো জুম চাষ করে থাকেন। জুমের সোনালি ধান কেটে ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে পাহাড়ি নারী-পুরুষ। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি জুমিয়ারা।বান্দরবান শহরের নিকটবর্তী জামছড়ি সদর উপজেলা থেকে ছবি ধারণ করা হয়। স্থানীয় জুমিয়াদের নারীরা বলেন, আমাদের মনের আনন্দ পূর্ণ। কেননা ফলন বেশী হয়েছে এবং ব্যস্ত দিন পার করছি পাকা ধান কেটে। গত বছর ন্যায় এই বছরে বৃষ্টি কম কিন্তু যা বৃষ্টি হয়েছে তা বেশ ভাল ফলন দিয়েছে । স্থানীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক এম এম শাহ নেওয়াজ বলেন, পাহাড়ি বেশির ভাগ মানুষ জুমচাষে নির্ভরশীল। গত বছর বান্দরবান জেলায় ৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়। আর চলতি বছর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৯৩৩ হেক্টর জমিতে। ফলন ভালো হলেও ধানের আবাদ ও উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে।