হারুন শেখ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট জেলা।।
বাগেরহাটে জেলার , বাগেরহাটের কৃতি সন্তান শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বারের ৫৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী। শুক্রবার ৬ (সেপ্টেম্বর)। ১৯৬৫সালের পাক ভারত যুদ্ধে লাহোরের খামখেরন সেক্টরে ভারতীয় ট্যাংক বাহিনী ধ্বংসের যে কয়জন বাঙালি সৈনিক বুকে ডেনা মাইন বেঁধে আত্মহুতি দিয়েছিলেন শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বার তাদের মধ্য অন্যতম। বাগেরহাট সদর উপজেলা শহরতলীর কেশবপুর গ্রামের মরহুম রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বার এর নামানুসারে ১৯৬৫ সালে বাগেরহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থানে জব্বার মিনার নির্মাণ করে। বিশেষ কারণে জব্বার মিনার স্থানান্তরিত হয়ে তিন রাস্তার মোড়ে (দৈনিক দূত অফিসের দক্ষিনে) স্থানান্তরিত হলেও মিনারটি কেউ খোঁজ খবর না নেওয়ার কারণে এবং ব্যবহার না করায় তা এখন পৌর সভার ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ১৯৬৮ সালে শহরতলীরচর গ্রামে শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বারের নামানুসারে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত করা হয় এবং ১৯৭০ সালে স্থাপিত হয় শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এদিকে শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বারের পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বারের ভ্রাতুষপত্র বিশিষ্ট ঠিকাদার মেসাস রাফি এন্টারপ্রাইজ এর কর্ণধার শেখ মোঃ কামাল এ প্রতিনিধিকে জানায়,একজন দেশ প্রেমিক বাঙালি সৈনিক যুদ্ধের শহীদ হয়েছে ভারতীয় আগ্রাসন ঠেকাতে সেখানে সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে থেকে বাগেরহাটের এই বীর সন্তানের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। এদিকে শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি কেশবপুর শেখপাড়া জামে মসজিদ, হাওলাদার পাড়া জামে মসজিদ,চরগ্রাম কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস জামে মসজিদ, আলুকদিয়া জামে মসজিদ,গোপালকাঠি, কাল দিয়া গোটাপাড়া ও চর গ্রামের অন্যান্য মসজিদে জোহর নামাজ বাদ শহীদ নায়ক আব্দুল জব্বারের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হবে।