সংবাদদাতা: দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
আজ ১২/৮/২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান বলেছেন, আমরা রাত্রিবেলায় মন্দির পাহারা দিচ্ছি। এটা নতুন কিছু নয়। ১৯৯১ সালে ভারতে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার পর তখনও আমরা আমাদের বড় হুজুরের (প্রয়াত মাওলানা সিরাজুল ইসলাম) নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দিরগুলো পাহারা দিয়েছি। মসজিদ ভাঙায় আমরা মন্দির ভাঙবো তা ইসলাম সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই দেশের নাগরিক এবং সমঅধিকার ভোগ করি। আল্লাহর রসুল (সা:) বলেছেন, অমুসলিমের ওপর যারা জুলুম করে, তাদের অধিকারে কেউ কম দেয়, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, অন্যায়ভাবে তাদের কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয় কিয়ামতের দিন আমি নবী আল্লাহর কাছে বিচারপ্রার্থী হবো। এই হচ্ছে সংখ্যালঘুর বিষয়ে নবীর নির্দেশনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে।
তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে কোনো সংখ্যালঘু আক্রান্ত হতে পারবে না, করতে দেওয়া হবে না।
আমাদের নেতৃবৃন্দ জেলার সর্বত্র এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি গুজব না ছড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির শিক্ষা নিতে ভারতের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি হেফাজতে ইসলাম বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
এ সময় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি মোবারকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, সহ-সভাপতি কারী বোরহান উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, প্রচার সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া খান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাদানি ও মাওলানা বেলাল হোছাইন সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।