বরিশাল শহরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কের ভিতর বিদ্যুৎ লাইট পোস্টে বাতি না জ্বলায় চলছে অনৈতিক নানান ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা।

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাকির হোসেন

বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডস্থ কীর্তনখোলা নদীর পাশ্ববর্তী তীরে অবস্থিত ‘মুক্তিযোদ্ধা পার্ক’। এ স্থানটিতে দুর-দূরান্ত থেকে নানা পর্যটক ঘুরতে আসেন। তবে পার্কটিতে সন্ধ্যার পর আলো না থাকায় দেখা দেয় ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘুরতে আসা উঠতি বয়সি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণ-তরুণীরা অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়। পাশাপাশি রাত বাড়লেই পার্কটিতে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের আসর জমে ওঠে। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন ‍ঘুরতে আসা আন্যান্য পর্যটকরা।

গতকাল সন্ধ্যার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- পার্কের লাইটপোষ্ট গুলোতে বাতি জ্বলছে না। ফলে পার্কের মধ্যে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেই অন্ধকারের মধ্যে উঠতি বয়সি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণ-তরুণীরা অশ্লীল কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বিষয়টি আচ করতে পেরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরছেন পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।

এ সময় কথা হয় স্থানীয় রাব্বি নামের এক যুবকের সাথে। তিনি বলেন, এই পার্কের ল্যাম্পপোস্ট গুলোতে প্রায় ৬ মাসের বেশি কোনে আলো জলে না। সেই সুযোগে ঘুরতে আসা যুবক-যুবতি ও তরুণ-তরুণীরা অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ‘মুক্তিযোদ্ধা পার্ক’ যুবক-যুবতি ও তরুণ-তরুণীদের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

রুবেল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, পার্কটি সারাদিন স্বাভাবিক থাকলেও রাতের আধাঁর নামলেই প্রায় সময়ই কিছু বখাটে যুবকদের দেখা মেলে এবং পার্ক জনশূন্য হয়ে পড়লে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের আসর জমে ওঠে। বর্তমানে মাদক ও অবৈধ কার্যক্রমের জন্য নিরাপদ স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে পার্কটি।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে পার্ক রক্ষক ও কর্তৃপক্ষের কাউকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। তবে পার্কের পার্শ্ববর্তী বিআইডব্লিউটিএ’র রক্ষক এক আনসার সদস্য বলেন, রাত ১০ টার পর আমাদের এরিয়ার ভিতরে বহিরাগত কেউ থাকলে আমরা বের করে দেই। তবে নদীর পাশের পার্ক এরিয়াটা হচ্ছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অধীনে, ওটা আমাদের এরিয়ায় না এর জন্য আমরা অশ্লীল কার্যক্রম দেখলেও কিছু বলি না।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বনায়ন শাখার আনোয়ার হোসেন বলেন, এইতো কিছু দিন আগে মিটার বোর্ডে আগুন লেগে পার্কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়। এরপর থেকে পার্কে ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলো আর জ্বলেনা। লাইটগুলো দুর্যোগের সময় ভেঙে গেছে তারপর আর লাগানো হয়নি। এ বিষয়ে আমি কিছুদিন আগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি সিটি কর্পোরেশনে এবং আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
কাল (বিদ্যুৎ) সংযোগ শাখার লোক আসার কথা ছিলো, আসতে পারিনি আজ আসবে বলছে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন- আমি বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
যদি এমন অসামাজিক অশ্লীল কার্যকলাপ ওখানে হয়ে থাকে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *