//বরিশাল জেলা প্রতিনিধি//
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে খ্রিস্টান পল্লীতে জমা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়েরর অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পাদ্রীশিবপুর সেন্ট আলফেডস্ হাই স্কুলের সাবেক ইংরেজি শিক্ষক মৃত রেমন্ড মধুর কন্যা সবিতা জুলিয়েট মধু,রোজলিন রুবি মধু, অমিতা মধু, কল্পনা মধু, শিপ্রা মধু, লিপি মধু, দীপ্তি মধুর ওয়ারিশ সূত্রে বরিশাল জেলার, বাকেরগঞ্জ স্টেশনের পাদ্রীশিবপুর মৌজার জে,এল নং-২৬,এস,এ খতিয়ান নং-১২৮৮,দাগ নং৪৩৪৭/৪৩৪৮/৪৩৪৯ এর মোট ০.৩৮০০ একর রেকর্ডীয় ভূমি নিয়ে একই এলাকার মৃত আলবিন গোমেজের পুত্র বেনিডিক রনি গোমেজ,প্রদীপ গোমেজ,হেনরী সন্দীপ গোমেজের সাথে বিরোধ দেখা দিলে মৃত রেমন্ড মধুর সাত কন্যা বাদী হয়ে মোকাম বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত বাকেরগঞ্জ,বরিশাল দেওয়ানী মোকদ্দমার নং-২৮০/২০২৩(বাকেরগঞ্জ) দায়ের করিলে গত ১৬ ই জুলাই বেনিডিক রনি গোমেজ,প্রদীপ গোমেজ,হেনরী সন্দীপ গোমেজ জমি জমা সংক্রান্ত অভিযোগ এনে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করিলে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করিলে তিনি ওই অভিযোগ পত্রটি ওসি বাকেরগঞ্জ থানাকে আইনানুগভাবে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বললে মৃত আলবিন গোমেজের পুত্র প্রদীপ গোমেজ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতা অপব্যবহার করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে গত ৩১শে আগস্ট মৃত জুলিয়াস ডি কস্তার পুত্র মিঠু ডি কস্তা,মিঠু ডি কস্তার স্ত্রী রুবি মধু, এন্ড্রা হালদারের স্ত্রী সবিতা জুলিয়েট মধু, মিঠু ডি কস্তার স্কুল পড়ুয়া পুত্র অর্ণব ডি কস্তা এবং তাদের বাসার কাজের মেয়ে মৃত রফিক মিয়ার স্ত্রী শিউলি বেগম সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে বাকেরগঞ্জ থানায় বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৮৫/৩৮৭/৩৭৯/৩৮০/৫০৬(২) ধারায় জি,আর-২৫৭/২০২৩(বাকেরগঞ্জ) নং একটি মিথ্যে,বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও হয়রানী মূলক এজাহার দায়ের করিলে উক্ত এজাহারের ভিত্তিতে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ গত ১লা সেপ্টেম্বর রুবি মধু,সবিতা জুলিয়েট মধু ও তাদের কাজের মেয়ে শিউলি বেগমকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত মামলার প্রধান আসামী মিঠু গোমেজ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি তার কর্মস্থল ঢাকায় এবং সবিতা জুলিয়েট মধু তার স্বামীর বাড়ি গৌরনদিতে অবস্থান করছিলেন।তাই তিনি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারের কল লোকেশন চিহ্নিত করার দাবী জানান।