ফুলবাড়ীতে জামাইয়ের লাঠির আঘাতে আহত হয়ে শাশুড়ি হাসপাতালে

আহসান হাবীব দুলাল, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:২৬.০৪.২৫

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জামাইয়ের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন শাশুড়ি মোমেনা বেওয়া(৫৫) । শনিবার সকাল দশটায় উপজেলার বজরের খামার এলাকায় ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাশুড়ি মোমেনা বেওয়া বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, মোমেনা বেওয়ার মেয়ে সাহিদা খাতুন এর সাথে বজরের খামার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম এর সাথে দশ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাহিদা খাতুন এর উপর চলে অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন, নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে এক পর্যায়ে সাহিদা খাতুন নিজের জীবন চালানোর জন্য ঢাকা গার্মেন্টসের চাকরি নেন। এখানে গিয়েও খাইরুল ইসলাম সাইদা খাতুনকে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার সময় রাস্তায় গলাচিপিয়ে হত্যা চেষ্টা করলে তার আত্মচিৎকারে জন তাকে উদ্ধার করেন। কিছুদিন পর সাইদা খাতুন এর গর্ভে একটি সন্তান আসলে সকল অত্যাচার হয়ে খায়রুলের সংসার শুরু করেন। এক পর্যায়ে খাইরুল যৌতুকের জন্য বারবার চাপ দিতে থাকেন, যৌতুক দিতে না পারায় বাড়িতে গিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন খাইরুল। তারপরও মেনে নিয়ে সংসার চালিয়ে যান ও দুই সন্তানের জননী হন শাহিদা খাতুন । ২৬ এপ্রিল সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে চাউল জোর করে নিয়ে যায় খাইরুল। বিষয়টি তার বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি মোমেনা বেদম মারপিট করে, এ সময় মোমেনা বেগমের মাথা ফেটে গেলে তিনি গুরুতর হয়ে পড়েন, পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তার মেয়ে সাহিদা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাহিদা খাতুন জানান, বিয়ে হওয়ার পর থেকে সব সময় অত্যাচার করত এবং আমার কাছে যৌতুকের টাকা চাইতো,টাকা না পেয়ে এর আগে আমাদের বাড়িতে একবার আগুন লাগিয়ে দেয়।চাউল জোর করে নিয়ে যাওয়ার কথা করলে আমার মাকে বেধন মারপিট করে আমি বিচার চাই।

এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানান, আমাদের গ্রাম অঞ্চলে জামাইকে নিজের ছেলের মত মনে করা হয় অথচ সেই জামাই শাশুড়ি কে মারধর করেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

শাশুড়ি মোমেনা বেওয়া জানান, মেয়ের সংসারের কথা চিন্তা করে দীর্ঘদিন ধরে খাইরুলের বিভিন্ন অত্যাচার ও জুলুম সহ্য করেছি, আজ বাড়ি থেকে চাউল নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে আমাকে বেদম মারপিট করে, আমার মাথা ফেটে গিয়ে চারটি সেলাই হয়েছে,আমি এর সঠিক বিচার চাই।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি, অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *