সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
সপ্তাহ জুড়ে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ এলাকা। ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, মিরেশ্বরাই, সাতকানিয়া, কক্সবাজার, বাঁশখালী ও চট্টগ্রাম নগরীতে বেশ কিছু অঞ্চল। বিপর্যস্ত জনজীবন, হুমকির মুখে জনসাস্থ্য, ইতিমধ্যে বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যাতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে ।
চট্টগ্রাম নগর এর মুরাদপুর, জাকির হোসেন রোড ,হালিশহর, আগ্রাবাদ,সহ প্রায় এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সড়কগুলোতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় কাপ্তাই বাঁধের পানি বর্তমানে 103 ফুট উচ্চতা রয়েছে।
গতকাল ছিল ১০১ ফুট ।চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে পানি বেড়েছে দুই ফুট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী দুই দিন যদি টানা বর্ষণ চলতে থাকে তাহলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার উপরে চলে যেতে পারে। ১০৮ ফুট অতিক্রম করলে বিপদসীমা ধরা হয়। তাই এই মুহূর্তে কাপ্তাই হ্রদের বাঁধ খুলে দেয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই বলছেন কর্তৃপক্ষ। আমাদের কাছে কিছু চিত্র এসেছে খাগড়াছড়ি র অধিবাসীরা পাহাড়ী ঢলের কারণে রশি বেঁধে হ্রদ পারাপার হচ্ছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে ফেনীতে। সেনাবাহিনী সেখানে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসছে ফেনীবাসীর পাশে।