ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি মোঃ অমিদ হাসান
৩ বছর আগে বাবাকে হারিয়েছেন । কর্মজীবী মায়ের বড় মেয়ে হওয়ায় সংসারের কাজও করতে হয় । কঠিন প্রতিকূলতার পরও বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সবাইকে পেছনে ফেলে সারাদেশের মধ্যে হয়েছেন তৃতীয় । অদম্য মেধাবী রুবাব জামানের ইচ্ছে প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়ে দেশ ও দশের সেবা করা ।একেতো বাড়ীর বড় মেয়ে তারপর আবার কর্মজীবী মায়ের সন্তান । সংসারের সব কাজ না করলেও টুকটাক অনেক কাজই করতে হয় রুবাব জামানের । কখনও পড়ে থাকা বাসন ধুয়ে রাখছেন আবার কথনও খাবার গরম করছেন । সেই সাথে ঘরকন্যার আরো টুকিটাকি কাজতো আছেই । তারপরও অদম্য তিনি । তার প্রমানও দিয়ে ফেলেছেন । তিনি কালীগঞ্জ শহরের বড় বাজার এলাকার মৃত মিরুজ্জামান ও জহুরা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন খানের মেয়ে। দুই ভাই বোনের মধ্যে রুবাব বড়।ঘরের কাজ
যেহেতু মা বাড়ী থাকেন না সংসারের সব দিকেই লক্ষ্য রাখতে হয় । এর সাথে সামাজিক বহু প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে চলে নিজের অধ্যবসায়। যার নেই কোন বাধাধরা সময় । সুযোগ-সুবিধা পেলেই বসে যান পড়তে। মেধাবী হওয়া যায় তবে ধরে রাখা খুব কঠিন । ২০১৪ সালে পিএসসি ও ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ২০২০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস ও যশোর বোর্ডে মেয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম, ২০২২ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় আবারও গোল্ডেন এ প্লাস । এবার উপজেলা কিংবা বোর্ড নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পরীক্ষায় তিনি হলেন দেশ সেরা তিনজনের একজন।পড়াশোনা রুবাবা মেয়ের এই অর্জনে তিনি খুবই খুশি। মেয়ের বাবা বেঁচে থাকলে আরও বেশি খুশি হতেন। বাবা না থাকায় চাকরির পাশাপাশি মেয়েকে সময় দিতে হয়।
রুবাবা জামানের মা পারভীন খানএ কৃতিত্বের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ যোগ্য না । সবার সহযোগীতা ছিল অবশ্যই তবে তার নিজের চেষ্টাতেই সে এই সাফর্য অর্জন করেছে । সে আমারদের কলেজের গর্ব ।মনোজ কান্তি বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, সরকারী মাহাতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
প্রতিদিন নিয়মিত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লেখাপড়া সাথে সাথে তিনি অবসর সময়ও কাটান বিভিন্ন গল্পের এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বই পড়ে।