সাগর আহম্মেদ গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
১৯২১ সালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে গাইবান্ধা পলাশবাড়ী স্বাধীন হয়েছিলো।এ স্বাধীনতা অর্জনে আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় অফিস ছিলো আজকের অবৈধদখলদারের হাতে বিলিন হওয়া ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাট।
পলাশবাড়ী কালিবাড়ী বাজারের পাশাপাশি অফিসের হাটের বাজার ও হাট বারে হাট বসতো। পরবর্তীতে এই অফিসের হাটের ২ একর ৪৮ শতাংশ জমি কালের বিবর্তনে দখলদারদের দখলে চলে গেছে। ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে এক সময় কার জমজমাট এই হাটটি দখলকারীরা আস্তে আস্তে অফিসের হাট বিলিন করে ফেলেছে।
অফিসের হাটের জমি কারা কিভাবে দখল করলো আর দিনে দিনে উক্ত সরকারি সম্পতির মালিক বনে গেলো সেই বিষয় গুলো তুলে ধরতে ও উক্ত সরকারি সম্পতি উদ্ধারের সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা কামনা করেছেন পলাশবাড়ী সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার জামালপুর মৌজার ১১০৩ দাগে ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহ্যাসিক স্মৃতি বিজরিত অফিসের হাটের ২ একর ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে মাত্র ৪৫ শতাংশ জমিতে পলাশবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে।
উক্ত মৌজায় অফিসের হাটের বাকি ২ একর ৩ শতাংশ জমি কালের বিবর্তনে ও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতায় দখলদারের দখলে রয়েছে। পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রে ও ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের সম্পতি কালে কালে দুই তিন শতক থেকে শুরু করে যে যার মতো দখল করে নিয়েছে। অনেকেই আবার কিছু অংশ বন্দোবস্ত নিয়ে অধিকাংশ বেদখল করে যে যার মতো ভোগ দখলে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বছর বছর নতুন কৌশলে ঐতিহ্যবাহি অফিসের হাটের জায়গা জমি আজ দখলদারদের দখলে রেখে ভোগ দখল করছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এভাবেই আজ অফিসের হাটের ২ একর ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে ৪৫ শতাংশ জমিতে মডেল মসজিদ বাকি জমি অন্যদের দখলে রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই বন্দোবস্ত নিয়েছে কেউ আবার অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করছেন ও ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এমনকি অফিসের হাটের জমি ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় নিজ নামে রের্কড করেও নিয়ে নিয়েছেন বলে জানা যায়।
উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডশনের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ জানান, অফিসের হাটের মোট জমির পরিমাণ জানা নেই তবে উপজেলা মডেল মসজিদের দখলে ৪৫ শতাংশের জমি রয়েছে।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মমিনুল হক জানান,পৌর এলাকার জামালপুর মৌজায় অফিসের হাটের মোট জমির পরিমাণ ২ একর ৪৮ শতাংশ এর মধ্যে মডেল মসজিদ রয়েছে ৪৫ শতাংশে ও বন্দোবস্ত্র রয়েছে ২১ শতাংশ , বাকি জমি কি অবস্থায় রয়েছে তা জানা নেই। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে তিনি উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি অফিসে যেতে বলেন।
উপজেলা সহাকরি কমিশনার ভূমি কর্মস্থলে না থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, উক্ত অফিসের হাটের বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমির নিকট বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য,গাইবান্ধা পলাশবাড়ী পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রের ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের মোট ২ একর ৩ শতাংশ জমি এখনো দখলদারদের দখলে থাকায় আজ অফিসের হাট বিলিন হয়ে গেছে। ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি বিজরিত অফিসের হাটের অস্তিত রক্ষায় ও খাস জমি উদ্ধারে এবং উক্ত ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাট বিলিনের সাথে জড়িতদের চিহিৃন্ত করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনার,ভূমি মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন পলাশবাড়ী পৌর এলাকাসহ উপজেলার সচেতন মহল।
প্রকাশক ও সম্পাদক খান মো সাইফ উদ দৌলা শাওন কর্তৃক প্রকাশিত।
নির্বাহী সম্পাদকঃ খ ম সাইফুল হাবিব সজিব,
সারা দেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে বিস্তারিত জানতেঃ whatsapp +8801717165415
Copyright © 2024 দৈনিক ভোরের প্রতিধ্বনি. All rights reserved.