পলাশবাড়ীর পশ্চিম মির্জাপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পরীক্ষা স্থগিত। সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত এর প্রতিশ্রুতি।

পলাশবাড়ীর পশ্চিম মির্জাপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পরীক্ষা স্থগিত। সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত এর প্রতিশ্রুতি।

স্টাফ রিপোর্টার :মারুফ হোসেন

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পশ্চিম মির্জাপুর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।

শুক্রবার (১৬)ই ফেব্রুয়ারি পলাশবাড়ী সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের ১ঘন্টা আগে এই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে।

তথ্য অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম মির্জাপুর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় নানান পদে জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন অধ্যক্ষ। আর এ পদ গুলোতে ৫০ জন প্রার্থী আবেদনপত্র জমা প্রদান করেন।

পিয়ন পদে জেনারেল ইসলাম ঠান্ডা নামে একজনকে নিয়োগের কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা ঘোষ গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ আ ন ম জাহিদুল ইসলাম। অপরদিকে শহিদুল ইসলাম নামে আরেকজনের কাছে একই কথা বলে চার লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।

এদিকে পরীক্ষার দিন(১৬)ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে প্রার্থীরা টাকা ফেরত চেয়ে অধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান কে পরীক্ষা কেন্দ্রে আটক করে রাখে।

খবর পেয়ে পলাশবাড়ী পৌর মেয়র গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লব ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন এবং নিয়োগ পরীক্ষা চালানোর অনুরোধ জানান। এ সময় অধ্যক্ষ আগামী সাত দিনের মধ্যে সমুদয় টাকা ফেরত দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

অপরদিকে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পশ্চিম মির্জাপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব একে এম মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়োগের টাকা সাত দিনের মধ্যে ফেরত দিতে অধ্যক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন।

উক্ত ঘটনার সত্যতা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিগণ অবলোকন করে সাংবাদিকদের বলেন যেহেতু অধ্যক্ষ নিয়োগের সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে সেহেতু আজকের পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।

এদিকে পলাশবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী পশ্চিম মির্জাপুর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *