পলাশবাড়ী প্রতিনিধি,মোঃরাসেল মাহামুদ,
পলাশবাড়ী উপজেলার ৫ নং মহদীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু ও উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়া শিরশিরী বেগম গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমে অন্তরঙ্গ মিলেমেশা করতে গিয়ে হাতে নাতে আটক হওয়ার পর গণধোলাই দিয়ে ইউপি সদস্য বাবু কে গাছে ও শিরশিরী বেগম কে ঘরে বেধে রাখে। পরে উক্ত নারীসহ দুজন কে পুলিশের হাতে দিয়েছে জনতা।
জানা যায়, ২০ অক্টোবর শুক্রবার গভীর রাতে মহদীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু আমলাগাছী বাজার সংগ্লন্ন জালাগাড়ী দুর্গাপুর গ্রামের আগপাড়া অন্যের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী এক শিরশিরী বেগম এর সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে হাতে নাতে উক্ত নারীর বসতঘর হতে জনতার হাতে আটক হয়। আটকের পর স্থানীয়রা ইউপি সদস্য বাবুকে গণধোলাই দিয়ে উক্ত বাড়ীর আমগাছের সাথে বেধে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এরপরে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি টিম ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম বাবু ও ঐ গৃহবধুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ইউপি সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বুজ্র বৃষ্টিপুর গ্রামের আব্দুলের ছেলে। সে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হলেও নিজেকে সাংবাদিক ও জামায়াতের নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়ে চলতো এবং এলাকার মানুষ তাকে এভাবেই চিনতো।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনর্চাজ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন,এঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউপি সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু ও শিরিন বেগম দীর্ঘ দিন হলো পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিলো। বিষয়টি শিরশিরী বেগমের স্বামী বুজতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় নিজ বসত ঘরের ইউপি সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু ও শিরশিরী বেগম কে হাতে নাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে বেধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।