নীলফামারীতে বেড়েই চলছে গরু চুরির সংখ্যা দুচিন্তায় খামারীরা

তপন দাস

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে বেড়েই চলেছে রাতের আধারে গরু চুরি সংখ্যা , দুচিন্তায় গরু পালন কারী খামারী ও সাধারণ জনগন।

বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রাতের আধারে নীলফামারীর বিভিন্ন স্হান থেকে চুরি করে পিক-আপে নিয়ে যাচ্ছে গরু।

এমনি একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সদর উপজেলা পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানা এলাকার মোহাম্মদ হুসেইন আলীর বাড়িতে।

শনিবার গভীর রাতে তার বাসা বাসা আনুমানিক ৩ লাখ টাকার মূল্যের ৪ টি গরু নিয় যায় চোর চক্রের সদস্যরা।

সরজমিনে গিয়ে মোহাম্মদ হুসেইন আলী এবং স্হানীয় কয়েকজন জানান শনিবার রাতে ঝিম ঝিম করে বৃষ্টি হয়েছিলো এজন্য আমরা গরুর ঘর ভালো করে দেখে ঘরে দরজা লাগিয়ে দিয়ে তালা দেই এবং আমরা রাত আনুমানিক ১.৩০ মিনিটে ঘুমিয়ে পড়ি, পরে রাত আনুমানিক ২ টা থেকে ২.৩০ এর পর একটি শব্দ শুনে ঘরের জানালা দিয়ে দেখি গরুর ঘরের দরজা খোলা তখন আমরা মানে বাসার সবাই বাহিরে আসার চেষ্টা করি কিন্তু চোরেরা বাহিরে আসার সব গেট বাহির থেকে বন্ধ করে দেয়।

পরে বাসার পাশে থাকা আমার মেয়ে জামাই কে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তারা এসে দরজা খুলে দেয় তার পর আমরা গরুর ঘরে দেখি আমার ৪ টি গরু চোর নিয়ে গেছে তখন আমরা সারারাত বিভিন্ন স্হানে সেগুলো খুঁজতে শুরু করি কিন্তু পাইনি তখন আমরা বিষয়টি থানায় অবগত করি ।

স্হানীয় কয়েকজন বলেন হুসেইন আলী তার ২ টি আরিয়া গরু দিয়ে অন্যের গরুকে বীজ দিতো হয়তো সে সময়ে চোরের কোন সদস্য তার বাসার সবকিছু দেখে যায় আর হুসেইন আলীর বাসাটি একেবারে মেইন রোডের সাথে হওয়ায় চোরের চুরি করা আরো সহজ হয়েছে আর তার বাসায় হয়তো চোরের সদস্যরা আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিলো।

এবিষয়ে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইব্রাহিম তালুকদার বলেন আমি সকালে চুরির বিষয়টি শুনি,

এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা, তবে আমি বিষয়টি থানায় অবগত করেছি।

এদিকে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আমরা খবর পাওয়া মাত্রা সেখানে যাই এবং সবার মুখে ঘটনাটি শুনি , এবং ভুক্তভোগীর কথা মতো আমরা অত্র এলাকার সব জায়গায় লাগানো সিসি টিভি ফুটেজ চেক করতেছি এবং বিষয় টির তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *