নালিতাবাড়ীতে আশ্রয় প্রকল্পের একজনের নামের বরাদ্দে ঘরে অন্যজন থাকে,,,,
মিলন হোসেন নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মায়াঘাসী মুজিববর্ষের উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিনামূল্যে এসব ঘর দেয়ার কথা থাকলেও ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ভূমিহীনদের কাছে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। মায়াঘাসী গ্রামের কাজিম উদ্দিন নামে বরাদ্দকৃত ঘর অন্য জনের আশ্রয়ে।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বিবাদে ইউনিয়ন পরিষদের শালিসে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দে দেওয়া কথা বলেন রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ খোরশেদ আলম খোকা, এবং এই কথা শুনার পর সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে দেন কাজিম উদ্দিন। কিছু দিন পর বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করতে ৫৬৫ টাকা জমা দেন কাজিম উদ্দিন কয়েকদিন পর ঐই গ্রামের মৃত্য আঃগফুর এর ছেলে মনির(৩০) ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান(৪১) আঃজলিল বাড়িতে গিয়ে ৩০ তিরিশ হাজার টাকা চান পরে ২০ বিশ হাজার পরে ১০ দশ হাজার টাকা দিতে হবে ঘরে জন্য এমন কথা বলেন মনির পর শাজাহান বলেন ঘর নিতে চাইলে কিছু দিতেই হবে।এমন কথা শুনে হতবাক যার লবণ আনতে পান্তা ফুরায় সে দিবে টাকা এমন কথা শুনে ঘরের আসা বাদ দিয়ে দেন কাজিম উদ্দিন ,পাকা ঘরে থাকার আর হলো না কাজিম উদ্দিনের, আবেদনের সাত মাস পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কাজিম উদ্দিন।
আট মাস গত হয়ে যাওয়ার পর ১০ জানুয়ারী ২০২৪ রোজ বুধবার আঃজলিল বাড়িতে মিটারের জন্য জমাকৃত ৫৬৫ টাকা ফেরত দিতে আসেন মনির ,আর তখনি বেরিয়ে আসলো আসল রহস্য, স্বামী হারা এক সন্তানের মা ফাতেমা বেগমের দৌড় ঝাঁপ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আশ্রয়প্রকল্পের বরাদ্দে ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানান আশ্রয়প্রকল্পের একজন।অন্য দিকে সাংবাদিকদের দেখে এক জন বলছে আমার কোন ঘর নেই তবে আমি অন্যের ঘরে থাকি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাজিম উদ্দিন এর ঘরে আমাকে চেয়ারম্যান সাব দিয়েছে । আঃজলিলের অভিযোগ ভিত্তিতে মনিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কি কোন নেতা, না কোন অফিসার, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। শাজাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন টাকা পয়সার কথা বলি নাই মনির কথা বললে তিনি বলেন মনির আমাদের একজন কর্মী। রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ খোরশেদ আলম খোকা বলেন তাদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ঠিক আছে কিন্তু তারা তো আর কোন যোগাযোগ করে নেই , এখন দেখি অন্য কোথাও যদি খালি থাকে তাহলে দেওয়া যাবে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পি আই ও) আব্দুল হান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যার নামে বরাদ্দ রয়েছে সেই পাবে অন্য কেউ পাবে না আর আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রকাশক ও সম্পাদক খান মো সাইফ উদ দৌলা শাওন কর্তৃক প্রকাশিত।
নির্বাহী সম্পাদকঃ খ ম সাইফুল হাবিব সজিব,
সারা দেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে বিস্তারিত জানতেঃ whatsapp +8801717165415
Copyright © 2024 দৈনিক ভোরের প্রতিধ্বনি. All rights reserved.