মোঃ রেজাউল করিম
স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গড়ে উঠেছে ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফিজিওথেরাপী সেন্টার, ডেন্টাল ক্লিনিক ও চক্ষু হাসপাতাল। এসবের মধ্য থেকে বেশিরভাগই ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এখন পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিসে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন আসেনি। ইতিমধ্যে সিভিল সার্জন অফিসের সহায়তায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফিজিওথেরাপী সেন্টার ও ডেন্টাল ক্লিনিক সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হলেও টনক নড়ছেনা এই সকল অবৈধ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের। নিবন্ধন ছাড়া কোন ক্লিনিক চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। তবে জনবল সংকটে অনেক অবৈধ ক্লিনিক এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
নাটোর জেলা শহর সিংড়া, নলডাঙ্গা,বরাইগ্রাম, লালপুর সহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিস ঘেষে গড়ে উঠেছে বে-সরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ বিভিন্ন নামের প্রতিষ্ঠান। বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চাহিদার নূন্যতম চিকিৎসাসামগ্রী, চিকিৎসক, নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মী বিদ্যমান নেই এসব প্রতিষ্ঠানে। সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের নির্দিষ্ট দূরত্বও মানা হয়নি এই ক্ষেত্রে।
নিবন্ধন বিহীন প্রতিটি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকের সাথে যে সকল ব্যক্তিগত সহকারি থাকেন তারা অধিকাংশ দালালও বটে। চিকিৎসক দালালদের চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের পরীক্ষা লিখে দেন। চুক্তিবদ্ধ ক্লিনিকে নিয়ে রোগীকে পরীক্ষা করানো হয়। এতে চিকিৎসক ও দালাল দুজনেই কমিশন পায়।
এই সকল নিবন্ধন বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ করে দেওয়া ও দালাল নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন জনগণ।