নাগেশ্বরীতে হাফ পেন্ট পড়ে মন্দির পরিষ্কার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের গাঁজাখোর, বুঝাতে গেলে সাংবাদিক কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। 

বিপুল রায় -কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারীরহাট এলাকায় অবস্থিত  প্রাচীনতম শ্রী শ্রী গোসাইবাড়ি শিব মন্দির, দীর্ঘশ্বাস কয়েক যুগ পড়ে  নাগেশ্বরী উপজেলা সনাতনী পরিষদের উদ্যোগে  অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহানামের আয়োজন করেন। তাই মন্দির প্রাঙ্গণে  পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে শিক্ষার্থীরা    যায় কিন্তু তাদের পড়নে হাফ পেন্ট থাকায়  তাদের কে গরিব ছোট লোকের বাচ্ছা  ও গাজাখোর মাদকসেবী বলে সম্বোধন করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন  শুধু তাই নয় দৈনিক ভোরের বানীর জেলা প্রতিনিধি ও নিউজ ২১ এর নাগেশ্বরী প্রতিনিধি বুঝাতে চাইলে তাদের কেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন) এবং সাংবাদিকতা পেশাকে ধান্দাবাজ বলে উল্লেখ করেন,উক্ত এলাকার মৃত স্বপ্নন চক্রবর্তীর মেয়ে শুকলা চ্যার্টাজী(৩৮)

কোনো কারণ ছাড়াই তার এই অসভ্য আচরণে এলাকাবাসী ও সনাতনীরা নিন্দা জানিয়েছেন। একজন হিন্দু হয়ে  মন্দিরে পূজার কাজে বাঁধা প্রদান  পূজার জিনিসপত্র  ভাংচুর করায়  পুরো উপজেলার হিন্দু সমাজের কাছে  তিনি একজন নরঅসুর নামে পরিচিত হয়েছেন।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় শুকলা চ্যার্টাজীর বাবা মৃত স্বপন চক্রবর্তী উক্ত মন্দিরের সেবাইত ছিলেন তার মৃত্যুর পরে সেই যোগসূত্র ধরে নাকি তার বিধবা স্ত্রী তাপসী চক্রবর্তী এ মন্দিরের সেবাইতের দায়িত্ব পায় কিন্তু কাগজে কলমে তার কোনো নিয়োগপত্র নেই  তারপরও দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে মন্দিরের জায়গা দখলে রেখেছেন এবং কিছু কিছু জমি টাকার বিনিময়ে লিজ দিয়েছেন  মন্দির প্রাঙ্গণে বড় বড় গাছ বিক্রি করে টাকা নিজের কাজে লাগান  তাছাড়া  দীর্ঘদিন থেকে মন্দিরের জন্য সরকার থেকে আসা অনুদানের টাকাও নিজের ব্যক্তস্বার্থে খরচ করেন  যার  জন্য দীর্ঘ যুগ পরেও মন্দিরে  উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।


অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা জানান   গরমের দিন হওয়ায় আমরা হাফ পেন্ট পড়ে মন্দিরের আশেপাশের জঙ্গল পরিষ্কার করতে যাই  এটা নিয়ে শুকলা চ্যার্টাজী  আমাদেরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আমাদের নাকি বংশের ঠিক নাই গরিব নেশাখোর মাদক সেবন করি,  প্রমান ছাড়া এই মিথ্যা তথ্য যা আমাদের সম্মান ইজ্জত নষ্ট করে  আমাদের কে ছোট করেছে  আমরা শুকলা চ্যার্টাজীর কঠরতম শাস্ত্রী চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *