নওগাঁয় শীবত্র বুড়াশীবের মন্ডবে পুজা বন্ধের হুমকি ও জমি দখলের অভিযোগ

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নওগাঁয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গা জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জেলার সদর উপজেলার আলাইপুর গ্রামে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে শ্রী বিমান চন্দ্র হাজরার করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বহু পুরোনো ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে মোট সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৩ একর ৪৮ শতক যা তৎকালীন সিএস খতিয়ান মোতাবেক আজীবন মালিক স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে সেই সম্পত্তির সিংহভাগই এখন ভূমিখেকোদের পেটে, অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ১৩ শতক।

সম্প্রতি ওই জমিও জোর দখল চেষ্টা এবং ওই স্থানে সকল ধরনের উপাসন বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মোঃ মোরশেদ আলী(২৭) পিতা মৃত আঃ আলী(মেম্বার) সাং নিন্দইন উত্তরপাড়া, শ্রী ভোলানাথ প্রামানিক (৭০) পিতা মৃত সুবল প্রামানিক, মোঃ আবুল কাশেম সরদার পিতাঃ মৃত ইউসুফ আলী সরদার সর্ব সাং আলাইপুর, পয়না, নওগাঁ সদর-নওগাঁ। সরেজমিনে জানা যায়, বিবাদমান ওই সম্পত্তিতে মন্ডবটি এখনো দৃশ্যমান থাকলেও নেই কোন ধরনের পূজা অর্চনা, জ্বলেনি প্রদীপ, বাজেনি ঢাক। সম্প্রদায়ের অনিচ্ছায়, শুধুমাত্র জীর্ণ একটি ঘর যা এখন বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়।

এ বিষয়ে শ্রী বিমান চন্দ্র হাজরার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বাপ দাদারা এই মন্ডবে পূজা উদযাপন করেছেন, আমিও করেছি, কিন্তু বর্তমানে কিছু প্রভাবশালীরা ওই জমিটি দখল করার চেষ্টা করছে, আমাকে বিভিন্ন ভাবে নানান ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এখন আমরা অনেকেই নানা আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছি। আমি আমার সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি যাতে করে পূর্ব পুরুষদের এই মন্ডবর পুনরায় পূজা উদযাপন করতে পারি।

স্থানীয় প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান, বহু পুরোনো ওই কালী মন্ডবটি প্রায় ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে ভোগ দখল করে আসছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়রা। তবে সম্প্রতি ওই সম্পত্তির মালিক দাবী করে অভিযুক্তরা সেখানে সকল ধরনের উপাসনা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন যা অমানবিক। এহেন কর্মকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবীও জানান তারা।

এ বিষয়ে বলিহার ইউপি সাবেক সদস্য মোঃ আবু জাফর মন্ডল জানান, আমি প্রায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে দেখছি ওই স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূঁজা আর্চনা করে আসছেন, বর্তমানে যারা ওই সম্পত্তির মালিক দাবী করছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনি। আইন অনুযায়ী জমির মালিক তারা হলে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখল করার প্রয়োজন কি? আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিরপেক্ষভাবে এঘটনার সুষ্ঠু নিরসন দাবী করছি।

অভিযুক্ত মো. মোরশেদ এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানা গেছে, আমি জমির বর্গাদার আমি জমির মালিন নয়। আমিও শুনেছি হিন্দুদের মন্ডবের সম্পত্তি, সাবেক চেয়ারম্যান হাতেম আলী আমাকে আদী হিসেবে ফসল করার জন্য দিয়েছে। পুজা মন্ডবে আমি কোন বাধা দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *