মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু

স্টাফ রিপোর্টারঃ,

নওগাঁর আত্রাই থানা এলাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের নেতা রামকৃষ্ণ সহ ডাকাত বাহীনির সক্রিয় ১৪ জন সদস্যকে ডাকাতিকালে হাতেনাতে আটক করেছে র‍্যাব।
সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে জানানো হয়, র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বুধবার ১১ অক্টোবর পূর্বরাতে নওগাঁর আত্রাই থানাধীন পাঁচুপুর এলাকা হতে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের নেতা রামকৃষ্ণ দাস (৩৫), পিতা বিষ্ণু দাস, সাং-কিচক হিন্দুপাড়া, থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া সহ তার ডাকাত দলের মোট ১৪ জন সদস্যকে আটক করেন। আটককৃত অপর ১৩ জন হলেন, নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), পিতা-মৃত মহিন্দ্র চন্দ্র দাস, মুকুল মিয়া (৩৫), পিতা- মোজাহার সরদার, মোজাহার সরদার, পিতা-মৃত ওমরচান সরদার, সর্ব সাং-মহব্বতপুর, রিমন চন্দ্র (২১), পিতা- সুবিন্দ চন্দ্র, বিফল চন্দ্র দাস (২৪), পিতা-বিরেন চন্দ্র দাস, কাজল চন্দ্র দাস(২১), প্রনব চন্দ্র দাস (২২), উভয় পিতা- ঝড়ো চন্দ্র দাস, শ্রী উজ্বল চন্দ্র দাস (২৮), পিতা- প্রফুল্ল চন্দ্র দাস, নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), পিতা-মৃত নির্মল চন্দ্র দাস, সর্ব সাং-জিয়াপুর, থানা-ক্ষেতলাল, মোঃ মাসুদ রানা (২৭), পিতা-মোঃ সায়েদ উদ্দিন, সাং-কুসুমবাগ, ড্রাইভার মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮), পিতা-মৃত তোফেজ উদ্দিন মন্ডল, সাং-ধুরইল, উভয় থানা-পাঁচবিবি, সর্ব জেলা-জয়পুরহাট, মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪), পিতা-মৃত হরেন হাওলাদার, শুভ চন্দ্র দাস (১৯), পিতা- বিপ্লব চন্দ্র দাস, উভয় সাং-জিয়াপুর, থানা-ক্ষেতলাল, জেলা-জয়পুরহাটকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
র‍্যাব আরো জানায়,
আটককৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গোপনে অন্যের পুকুরে মাছ চুরি করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ডাকাত দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা জনৈক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মৃত আলহাজ্ব ময়েজ উদ্দিন খান, সাং-সাহেবগঞ্জ সরদারপাড়া, থানা-আত্রাই, জেলা-নওগাঁ এর পুকুরে মাছ চুরি করে পিকআপে লোড করার সময় র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উক্ত ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে হাতেনাতে আটক করেন। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশিকালে তাদের নিকট থেকে কার্প জাতীয় মাছ ৩শ' ৬৫ কেজি, মাহিন্দ্রা পিকআপ ১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), মাছ ধরার জাল ২টি, মোবাইল ৫টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) সিম কার্ড ১০ টি চাকু ১ (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) ছোট হাসুয়া ১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত ডাকাত দলের নেতা শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস এবং তার অধীনে ১৫-২০ জনের একটি দল রয়েছে। তারা নওগাঁ, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২-১৫ টি পুকুরে এ ধরনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল এবং চুরিকৃত মাছ বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় বাজারে, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত বলে জানিয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব।