নওগাঁর মান্দায় চকউলী স্কুল ও কলেজের নিয়োগ বাণিজ্যের ও দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধনও প্রতিবাদ সভা

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নওগাঁ মান্দা উপজেলার চকউলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নানান দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অর্ধ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার সময় স্কুল গেটের সামনে রাস্তায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসব অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধনে ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার পরিবার,সুধীজন, ছাত্র, শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবংএলাকাবাসী।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় কমরেড ডাঃ ফজলুল রহমানের সভাপতিত্বে এবং আতোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, ইয়াছিন আলী, রুস্তম আলী, ইব্রাহিম হোসোন, আব্দুস সালাম, ছাইফুল ইসলাম, মোতাহার হোসেনসহ প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়ে চারটি পদে কর্মচারী নিয়োগ প্রকাশিত হয়। এ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম ও মানেজিং কমিটির সভাপতির মোঃ ইদ্রিস আলী সরদার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা
করেন। বিদ্যালয়টি একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষকের নানা রকম অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারনে বিদ্যালয়টির বর্তমানে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। একই সাথে নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করে এবং নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসাধারণের জানিয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমি কোনো প্রার্থীর সাথে আর্থিক লেনদেন করিনি।

উল্লেখ্য যে, এর আগে এলাকার সচেতন ব্যক্তি মোঃ ইয়াসিন আলী নামে এক ব্যক্তি উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক বরাবর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম ও সভাপতি ইদ্রিস আলী সরদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, অর্থ-আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর উক্ত চারটি পদে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু অভিযোগ থাকায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ও ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ বন্ধ করে চলে যায়।

এর পর গত রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টার সময় জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে- অভিযোগকারীসহ এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনেন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও বক্তব্য নেন।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, চারটি পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *