নওগাঁর বদলগাছীতে সূর্য বিমুখ দুই দিন:বিপাকে নিন্ম আয়ের মানুষ

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু

স্টাফ রিপোর্টার,নওগাঁ।

 

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদ নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছীতে। আজ সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে এই জেলা, বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার উকিলপাড়া, জগৎসিংহপুর, দয়ালের মোড় ও সদর উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চারদিক কুয়াশায় ঢেকে আছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আকাশে মেঘ আছে। কুয়াশাও আছে। গতকাল আবহাওয়া পরিস্থিতি যে রকম ছিল, আজকেও তেমনই থাকবে। বৃষ্টিও হতে পারে। আকাশে মেঘ থাকার কারণে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজকে কিছুটা বেড়েছে। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে।

হঠাৎ তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। রোদ না ওঠায় শহরে মানুষের আনাগোনাও কমেছে। যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁরা মোটা ও গরম কাপড় পরে এসেছেন।

আজ সকাল ৯টায় বদলগাছী সদর এলাকায় কথা হয় ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম  (৬০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এত দিন ঠান্ডা পড়লেও দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছিল। কালকা (গতকাল) থ্যাকে তো সূর্যের দেখাই নাই। কুয়াশাত রাস্তা ঠিকমতো দেখা যাওছে না। বড় গাড়ি সামনত থ্যাকে লাইট দিলে তো আরও কিছু দেখা যাওছে না। জান হাতত লিয়ে রাস্তাত ভাড়া মারোছি।’

ঐতিহাসিক পাহাড়পুরের তুহিন হাসান রাকিব বলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবন চলাচল কঠিন হয়ে গেছে, খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে দূর্ব্যবস্থায় বসবাস করছেন।

শহরের হাটখোলা বাজার  এলাকায় আনন্দ  হোটেলের পল্টু মহন্ত বলেন, ‘যে শহরত সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মানুষ ভরপুর থাকে, সেই শহরত অ্যাখন মানুষ নাই। ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে এক্যাবারে জরুরি কাম না থাকলে মানুষ ঘরত থ্যাকে ব্যাইর হছে না। গতকাল সারা দিন মাত্র আট হাজার টাকার বিক্রি হছে। অথচ অন্য সময় শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের যেকোনো দিন কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার বিক্রি হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *