নওগাঁর বদলগাছীতে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ায়ে ৯ মাস বয়সী শিশুকে মেরে ফেলার অভিযোগ মায়ের

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নওগাঁর বদল গাছীতে গ্যাস টাবলেট খেয়ে ৯মাস বয়সের এক শিশুকে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন শিশুর মা রিয়া আক্তার। নিহত শিশু রহমত আলী (৯মাস ২১ দিন) বদলগাছীর আধাইপুর ইউপ’র বেগুনজোয়ার গ্রামের নাহিদ হোসেনের ছেলে।

মৃত শিশুর মা রিয়া আক্তার বলেন, আমার বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি আমাকে পছন্দ করতেন না।আমাকে বাচ্চা নেওয়ার জন্য নিষেধ করতেন।আমার ইতি পূর্বে আমার দুইটা বাচ্চা নষ্ট করিয়েছে। আমার শাশুড়ি আমাকে জ্বালা যন্ত্রণা দিতো। আমি স্বামী সংসার করার জন্য জোর করে বাচ্চা নিই। আমার বাচ্চা জন্মের পর থেকে আমার শাশুড়ি আমার সাথে খারাপ আচরন করে আসতেছিল।এমতাবস্থায় ঘটনার দিন আমার শিশু বাচ্চা রহমত আলী ( ৯ মাস ২১ দিন) ঘুমিয়েছিল।আমার শাশুড়ি সরিষা শুকানোর জন্য আমাকে পাশের বাড়ীতে নাড়িয়ে দিতে বলে।আমি পাশের বাড়ীতে সরিষা নাড়িয়ে দিচ্ছিলাম কিছুখন পর শুনতে পারি আমার শিশু বাচ্চা গ্যাস বড়ি খেয়েছে।আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার শাশুড়ি বাচ্চার মুখে হাতের আঙুল ডুকিয়ে গ্যাস বড়ির বের করতেছে।আমার শিশু বাচ্চা নিজ হাতে গ্যাস বড়ি খায়নি। আমার শাশুড়ি আমার বাচ্চাকে গ্যাস বড়ি খাওয়ায়েছে।আমার বাচ্চার মৃত্যুর জন্য আমার শাশুড়ি দায়ি।

মৃত শিশুর দাদী নাজমা বেগম (৫৫)জানান, ৩রা নভেম্বর শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮:৩০টায় ভাত রান্না করার জন্য ড্রামের ভিতর থেকে চাল নেওয়ার সময় চালের ভিতরে রাখা পোকা মারার গ্যাস ট্যাবলেটটি মাটিতে পরে গেলে রহমত আলী হামাগুড়ি দিয়ে চালের ড্রামের নিকট গিয়ে পড়ে থাকা গ্যাস ট্যাবলেটটি হাত দিয়ে তুলে মুখে নিয়ে চুষে গিলে ফেলার চেষ্টা করার সময় আমি বিষয়টি দেখতে পেয়ে রহমতের মুখে হাত দিয়ে গ্যাস ট্যাবলেটের কিছু অংশ বের করি এবং ডাকচিৎকার করলে রহমত আলীর বাবাও মা দৌড়ে আসে এবং রহমতআলী অবস্থা খারাপ দেখে সাথে সাথে সিএনজিতে করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেবার পথে আনুমানিক সকাল ৯:২০ মিনিটে শশীর মোড় নামক স্থানে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে।

এ ব্যপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃআতিয়ার রহমান বলেন, এ ব্যপারে নিহতের পিতা নাহিদ হোসেন থানায় একটি ইউডি মামলা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *