মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
স্টাফ রিপোর্টার,নওগাঁ।
জেলার বদলগাছী উপজেলার সদরের ঔষধের দোকানে ঔষধের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উল্লেখিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বদলগাছী চারমাথা থেকে মাতাজিহাট রোডের দক্ষিণ পার্শ্বে নবাব মেডিকেল স্টোরের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মূল্যে ঔষধ বিক্রির অভিযোগ অনুসন্ধানে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসছে, এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ ও রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রায়হান ও সাদেকুল নামে দু,জন ব্যক্তি এসএমসি ব্লু স্টার প্রোগ্রাম
সমাজেক্ট ইনজেকশন নিতে নবাব মেডিকেল স্টোরে যায়, এ সময় রায়হান ইনজেকশনটি কিনে যাওয়ার পথে প্রতিবেদককে জানান আমি নবাব ফার্মেসি থেকে সমাজেক্ট ইনজেকশন প্রায় সময়ই ক্রয় করি, তবে মূল্য চল্লিশ টাকা দেওয়া থাকলেও আমার কাছ থেকে প্যাকেটের গায়ে উল্লেখিত মূল্যের চেয়ে একেক সময় একেক রকম দাম নেওয়া হয়। আজকেও একটি সমা জেক্ট ইনজেকশন ও ০.৩ মি.লি একটি সিরিজ নিয়েছি যার মোট মূল্য পয়তাল্লিশ টাকা। কিন্তু ফার্মেসির মালিক দরকষাকষির একপর্যায়ে ৭০ টাকা আমার কাছে নিয়েছে, এর আগেও কখনো ৯০ টাকা কখনো ১০০ টাকা নিয়েছিলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই এই অন্যায়ের বিচার চাই যাতে আমাদের মত অন্য কোন রুগীর স্বজনদের এরকম প্রতারণার শিকার হতে না হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ ফার্মেসিতে কয়েকজন সাংবাদিক ভুক্তভোগীকে সঙ্গে নিয়ে ক্রয়কৃত ইনজেকশনের বিষয়ে জানতে চাইলে দোকান মালিক আনিছুর রহমান মূল্য বেশি নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। প্যাকেটের গায়ে প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে তিনি বেশি নিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, কোম্পানি আমার কাছে বেশি মূল্য নেয় তাই আমিও বেশি মূল্যে বিক্রি করি। প্রদর্শিত মূল্যের কি হবে আপনি কি অর্গানিক যে দাম নির্ধারণ করবেন বললে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
সাদেকুল নামে অপর ব্যক্তি জানান, আমিও সমা জেক্ট ইনজেকশন কিনতে গিয়েছিলাম কিন্তু অতিরিক্ত মূল্যের কারণে নেয়নি। তিনি আরো বলেন বদলগাছীতে প্রায় সকল ঔষধের দামই বেশি, পাশের শহর মাতাজিহাট থেকে কিছুদিন আগে সমা জেক্ট ইনজেকশন চল্লিশ টাকা দিয়েই ক্রয় করেছিলাম। আসলে তদারকি না থাকাই এভাবেই সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে এই ফার্মেসিগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বদলগাছী উপজেলা হাসপাতাল গেটের সামনের দোকানগুলোতেও সব ধরনের ঔষধ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করা হয়। শুধু তাই নয় বদলগাছীর অনেক দোকানে ইন্ডিয়ান ইনজেকশন ডোভাসটাটও বিক্রি করা হয়, যাহা ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক অননুমোদিত এবং কতিপয় কিছু দোকানে নিষিদ্ধ প্যথিডিন বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বদলগাছী উপজেলা শাখার সভাপতি হেদায়েতুল্যাহ্ কাছে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে বেশি নেওয়ার আইনগত কোন নিয়ম নেই, তবে আপনারা জানালেন আমি বিকেলের দিকে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মুঠোফোনে নওগাঁ জেলা ড্রাগস্ সুপার রিফাত হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বেশি মূল্য নেওয়ার কোন নিয়ম নেই, ক্যাশমেমোসহ অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।