শহিদুল ইসলাম (ধনবাড়ী) টাঙ্গাইল ।
একদিকে প্রচন্ডতাপদাহ ভেপসা গরম আবার সেই সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং যার ফলে জনজীবন বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। রমজানের শুরু থেকে ধনবাড়ী উপজেলায় দেখা দিয়েছে নজিরবিহীন লোডশেডিং। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেহরি, ইফতার ও তারাবি নামাজের সময়ে লোডশেডিং হওয়ায় মুসল্লিদের ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আবার কিছু সময় বিদ্যুৎ থাকলেও থাকছে না পরিমাণ মতো ভোন্ডেজ। লো-ভোল্টের কারণে সঠিক সময়ে কৃষক ক্ষেত্রে পরিমাণমত সেচ দিতে না পাড়ায় ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলচাষী।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রথম রোজা থেকে এ পর্যন্ত ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ইফতার ও তারাবি নামাজ পর্যন্ত অনেক স্থানে বিদ্যুত থাকে না। আবার কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ এসেই চলে যায়। বিদ্যুতের এমন আচরণে রাতের বেলা একটু স্বস্তিতে ঘুমাতে পারছেন না গ্রাহকরা।
শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছেন না। দিনের বেলাতে লোডশেডিং এর কারনে স্কুল কলেজে ক্লাস করতে পারতেছে না শিক্ষার্থীরা শুধু তাই নয়,প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কল-কারখানা, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
রোজাদারদের আশা ছিল বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং থাকলেও হয়তো তারাবীর নামাজ ও রাতের সময় বিদ্যুৎ সেবার মান সহনীয় থাকবে। কিন্তু ঘন ঘন আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে বিদ্যুৎ সেবার মান। রমযানের শুরু থেকেই ধনবাড়ীতে চলতেই থাকে ভয়াবহ লোডশেডিং।
এই প্রচন্ড তাপদাহ গরমের দিনে সারাদিন রোজা রাখার পর তারাবির নামাজের সময় বা রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে রোজাদার মুসল্লিদের।
রমজানের প্রথম দিন থেকে লোডশেডিং চলছে। বিশেষ করে ইফতারের আগে অথবা পরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার চালাষ গ্রামের শারমীন আক্তার বলেন, রমজানের শুরু থেকেই লোডশেডিং বেড়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে লোডশেডিং। এতে তাঁদের মতো গৃহিণীদের জন্য সাহরি ও ইফতারি তৈরি করা খুবই কষ্টকর।
বলিভদ্র গ্রামের মুদিদোকানদার ফারুক বলেন, কয়েক দিন থেকে প্রতিদিন ইফতারের পর বিদ্যুৎ থাকছে না। এই গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় সাহরি ও ইফতার খেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং ও গরমে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতেও পারছেন না।
শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, লোডশেডিং এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
‘সাহরির সময় বিদ্যুৎ চলে যায়, সন্ধ্যায় ইফতারের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়, তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এর কি কোনো প্রতিকার নেই?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধনবাড়ী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারবো না , যদি কোন তথ্য জানার থাকে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ।
পবিত্র রমজান মাসে রোজা সুষ্ঠ ভাবে পালন করার জন্য একটু হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি ঘটানোর জন্য ধনবাড়ী উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।