দীর্ঘ ৪ মাস ৫ দিন পর শহীদ জামাল উদ্দিনের লাশ উত্তোলন।

মুবিন হাটহাজারী উপজেলার প্রতিনিধি

জামাল উদ্দিন ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে মারা যান। গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় জামাল উদ্দিন কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আনুমানিক ৯.৩০ দিকে মৃত ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৪ মাস ৫ দিন পর তোলা হচ্ছে শহীদ জামাল উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য । মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হচ্ছে এই লাশ । তার স্ত্রী তসলিমা আকতার জানান- ৪ মাস ৫ দিন পর কেন আমার স্বামী লাশ তোলা হচ্ছে ? তাছাড়া আরো শহীদ আছেন তাদের লাশ কেন তোলা হচ্ছে না? আমাকে এই পর্যন্ত কোন কেউ বলেননি আমি ও আমার ছেলে-মেয়ে কেমন আছি এবং এই পর্যন্ত কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। শুধু পেয়েছি সানজিদ আলমের ৫০ হাজার টাকা । আমার এতিম অনাত সন্তানদের নিয়ে, আমি না খেয়ে আছি। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে এই লাশটি উত্তোলন করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মডেল থানার ইনচার্জ কাউসার এবং ভূমি ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। উত্তোলন করার সময় ব্যক্তিবর্গ থেকে জানা যায়- হাটহাজারী মডেল থানা সামনে হাতে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৯.৩০ দিকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ৩১ আগস্ট হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদী ছিলেন জামাল উদ্দিনের স্ত্রী তসলিমা আকতার। স্থানীয় মানুষের কাছে জানা যায় জামাল উদ্দিনের এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে দেওয়ান নগরে থাকেন। জামাল উদ্দীন পেশায় একজন গাড়ি চালক ছিলেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *