মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ঃ
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলার পাঁচটি উপজেলার অধিকাংশ জমিতে রোপা আমনের ক্ষেত ডুবে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা ঘাটও ডুবে গেছে । এদিকে জেলার প্রধান তিনটি নদী টাঙ্গন, তীরনই ও নাগর নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমার কাছাকাছি পৌছায়ছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় জাওনিয়া হতে সাবাসপুর যাওয়ার রাস্তা সহ কয়েকটি রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্লাবিত হতে দেখা মিলছে।
টানা বর্ষণের কারণে অন্য দিনের তুলনায় রোববার অনেক কম যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হননি।
ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ে ২০ মিলিমিটার, শনিবার ২৩ মিলিমিটার ও রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এটি একটি লঘুচাপ। আগামী বুধবার পর্যন্ত এরকম বৃষ্টিপাত চলমান থাকতে পারে। তবে এখনপর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়নি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও তিনটি নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। জেলা শহরের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীর বিপদ সীমা ৩৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। ঔ বর্তমান এ নদীর পানি সমতল ৩১ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটার।
তীরনই নদীর বিপদ সীমা ৩৯ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি সমতল বর্তমানে ৩৭ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। নাগর নদীর বিপদ সীমা ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। বর্তমানে সেখানে ৪০ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে। এসব নদীর পানি যেকোনো সময় বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক খান মো সাইফ উদ দৌলা শাওন কর্তৃক প্রকাশিত।
নির্বাহী সম্পাদকঃ খ ম সাইফুল হাবিব সজিব,
সারা দেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে বিস্তারিত জানতেঃ whatsapp +8801717165415
Copyright © 2024 দৈনিক ভোরের প্রতিধ্বনি. All rights reserved.