মাসুদ সিকদার:
ঝালকাঠি-০১( রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এম মনিরুজ্জামান মনির। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলে ১% ভোটারদের তথ্যের বিষয়ে প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার ফারাহ্ গুল নিঝুম। ইসিতে আপিল আবেদন করলে মঙ্গলবার সকালে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন মনির। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে ব্যরিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনিরুজ্জামান মনিরের মধ্যে লড়াই হবে তুমূলভাবে। জমবে এবার ভোটের মাঠও।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল অনুযায়ী ৩ডিসেম্বর সকালে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দলীয় মনোনয়ন বিষয়ে বাদ পড়েন বর্তমান এমপি বজলুল হক হারুন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১% সমর্থকের স্বাক্ষরে গড় মিলের অভিযোগে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এম মনিরুজ্জামান মনিরসহ ৬জনে।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপীল করেন সিইসির আপিল বিভাগে। আপিলের তৃতীয়দিন শুনানীতে প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
খবরটি রাজাপুর-কাঠালিয়া এলাকার জনতার মাঝে ছড়িয়ে পড়লে নির্বাচনী এলাকায় উৎসবের আমেজ শুরু হয়। শুরু হচ্ছে নানান জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জন। তবে সবারই মন্তব্য এবার নির্বাচন জমবে। একজন সাবসেক্টর কমান্ডার আরেকজন মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম। স্বাধীনতা স্বপক্ষের দু’ব্যক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উৎসবমুখর ভোট অনুষ্ঠিত হবে রাজাপুর-কাঠালিয়ায়।
এম মনিরুজ্জামান মনির জানান, আমি দলীয় মনোনয় চেয়েছিলাম। নেত্রী যেটা ভালো মনে করছেন সেটাই করছেন। তবুও তিনি সারাদেশে চেয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ নির্বাচন। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সাবমিট করেছিলাম। জেলা রিটার্নিং অফিসার নগন্য কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল করেন। এতে রাজাপুর-কাঠালিয়াবাসী আশাহত হন। জনসাধারণের মুখের দিকে চেয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে সিইসি’র কাছে আপীল করেছি। আপীলে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন তিনি।