আবুবকর সম্পদ, জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোত্তালিব মিহিরকে সর্বশেষ ৪৩তম বিসিএসে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) তাকে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
এছাড়াও সাধারণ জ্ঞান জগতের বিশ্বস্ত বই প্রকাশনী মিহির’স রিসার্চ ও পাবলিকেশনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠকদের মন জয় করতে পেরেছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তাকে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আর্থিক দুরবস্থার কারণে একসময় চাচার বাড়িতে থাকতে হয়েছে। পরিবার থেকে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়লে কিছুদিন পড়াশোনাও বন্ধ ছিল। অথচ থেমে যাননি তিনি।
মোত্তালিব স্বদেশ বার্তা ২৪ কে জানান, সবচেয়ে বেশি আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হই এডমিশনের সময়।তখন একটি সিকিউরিটি কম্পানিতে পার্টটাইম চাকরি করে এডমিশনের কোচিং এবং আনুষাঙ্গিক খরচ চালিয়েছিলাম।
এতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি মোট ৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পান এবং সবদিক বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তার সফলতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলে হয়তো আমার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যেত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষকরা অনেক আন্তরিক। তারা আমাদের সবসময় চাকরি পরীক্ষা ও বিসিএসের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতেন। তারা আমাদের সুবিধার জন্য ২ টি ক্লাস রুমকে লাইব্রেরী রুম বানিয়ে ফেলেছিলেন। আমার সাফল্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
ভবিষ্যতে যারা বিসিএস পরীক্ষা দিবে তাদের উদ্দেশ্যে মোত্তালিব বলেন, বিসিএস ক্যাডার হওয়া যতটা না কষ্টের তার থেকে বেশি কষ্টসাধ্য কাজ হচ্ছে লেগে থাকা। তাই ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই।