আবুবকর সম্পদ,জবি প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.সাদেকা হালিমের নানা কুকর্ম প্রকাশ পেয়েছে।জানা যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান করেন।এছাড়াও
১. আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়া সত্ত্বেও।
২. উপাচার্য হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ শিক্ষার্থী হত্যার পর উনি আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন টকশো ‘তে কথা বলেছেন এবং ছাত্র হত্যাকারীদের পক্ষ নিয়ে জোর গলায় বলেছেন।
৩. ১৫ জুলাই উনার নির্দেশে বাস পরিচালক সিদ্ধান্ত ভৌমিক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রলীগ’কে বাস দিয়েছেন। এই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী’রা ছাত্র আন্দোলনে থাকা আমাদের বোন’দের উপর হামলা করেছে। আর এটার প্রমান ‘রফিক ভবন’র সামনের সিসি ক্যামেরার ২:৪৫ থেকে ২:৫৫ এর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে পাওয়া যাবে।
৪. জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় সাত দিনের কথা বলে এখন পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেন নাই।
৫. ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে মসজিদের ঈমাম কে জোরপূর্বক অব্যাহতি দিয়েছেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা প্রত্যাহার করেন।
৬. প্রশাসনিক পদে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে প্রাধান্য নিয়ে জেষ্ঠ্য শিক্ষকদের বঞ্চিত করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী জুনিয়র শিক্ষক’দের বসিয়েছেন।
৮. ‘কোটা থাকাতে প্রশাসনে নারীদের সংখ্যা বেড়েছে’ বলে উনি নারীদের হেয় করেছেন।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে পদান্বিত হওয়ার একদিন পর ভারত সফর করেছেন তিন দিনের জন্য।
১০. উনার নির্দেশে প্রক্টর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের এই বলে হুমকি দিয়েছেন যে ‘১২-০৭-২০২৪ তারিখে যদি ক্যাম্পাস থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল শাহবাগে যায়, তাহলে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বহিষ্কার করবেন’
১০. উনার নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ মদদে ক্যাম্পাসের গেইটের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দমাতে পুলিশ বসিয়েছেন এবং পুলিশকে নগ্নভাবে ব্যবহার করে ছাত্রদের গ্রেফতার করিয়েছেন।
এছাড়াও টেন্ডার বাণিজ্য, ছাত্রলীগ ‘কে শেল্টার দেয়া সহ নানা অপকর্ম তো আছেই!