জবিতে থিসিসে বর্তমান নীতিমালার সংস্কার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

আবুবকর সম্পদ, জবি প্রতিনিধিঃজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) থিসিসে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বর্তমান নীতিমালা সংস্কারের আবদেন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার নেতৃবৃন্দ। গত বুধবার(২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ রেজাউল করিমের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদেকে থিসিন বণ্টনে সর্বনিম্ন সিজিপিএ ও একটি ব্যাচে সর্বোচ্চ কতজন থিসিস করতে পারবে এ সংক্রান্ত শর্ত দিয়ে গত রবিবার(১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি অফিস স্মারক জারি করা হয়।

এই স্মারকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সুপারভাইজার বা কো-সুপারভাইজার হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে তাদের অবশ্যই পিএইচডি, এমফিল বা থিসিসসহ মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া একজন কোয়ালিফাইড শিক্ষক স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে এক শিক্ষাবর্ষের তিনজনের বেশি শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার হতে পারবেন না।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় যেসব বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে আসন সংখ্যা ৮০ বা তার চেয়ে কম সেসব বিভাগে ওই আসন সংখ্যার ২০ শতাংশ এবং যেসব বিভাগে আসন সংখ্যা ৮০-এর অধিক সেসব বিভাগে ওই আসন সংখ্যার ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস নিয়ে অধ্যয়ন করতে পারবে। যেসব শিক্ষার্থীর স্নাতক (সম্মান) বা বিবিএ পর্যায়ে ন্যূনতম সিজিপিএ তিন (৩.০০ বা ৪.০০) আছে তারা থিসিস গ্রহণ করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম স্মারক জারির পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয় সমালোচনা।এটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্যোশাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার(২২ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ উপাচার্য বরাবর আট দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, থিসিসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের নির্দিষ্ট হার বাতিল করতে হবে, বর্তমান নীতিমালায় উল্লেখিত ফলাফলের মানদণ্ডে উপযুক্ত/ আগ্রহী শিক্ষার্থীরা রিসার্চ প্রপোজাল জমা দিবে, রিসার্চ প্রপোজাল মূল্যায়নের মাধ্যমে(গর্ভনিং বডি বা সুপাইভাইজার প্যানেল কর্তৃক উপযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত হবেন, রিসার্চ প্রপোজালে শিক্ষার্থীদের একাধিক সুপারভাইজারকে অপশন হিসেবে রাখার সুযোগ দিতে হবে, লটারি পদ্ধতি বাতিল করতে হবে, প্রয়োজনে সুপারভাইজার এক বা একাধিক কো-সুপারভাইজার নিয়োগ করতে পারবে, কোনো শিক্ষার্থীর গবেষণা জার্নালে প্রকাশ হলে তাকে নির্দিষ্ট আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত জার্নালে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত গবেষণাগুলো প্রকাশ করতে হবে।

এই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার সমন্বয়ক মাসুদ রানা, মাহিন, মুশফিকুর রহমান, সিফাত হাসান সাকিব, নওশান নাওয়ার জয়া, সিয়াম, শাকের, আসাদ, মোহাম্মদ ইমন, রাকিবুল হাসান, মোহাম্মদ নাহিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *