আবুবকর সম্পদঃজবি প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগ ছাড়ার হিরিক পড়েছে । গত কয়েকদিনের মধ্যে এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে। এ পর্যন্ত পদত্যাগ ও স্বেচ্ছায় ছাত্রলীগ ছাড়ার ঘোষণা অব্যাহত রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পনের জনের বেশি নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাটি প্রত্যেকেই নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।
ছাত্রলীগ কেন ছাড়ছেন―এ নিয়ে কথা হয় জবি ডিপার্টমেন্টভিত্তিক ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ও পদপ্রাপ্ত নেতার সঙ্গে। তারা কেউ কেউ বলেন, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চান বা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তারা কোটা আন্দোলন সমর্থন করছেন, তাই ছাত্রলীগ ছাড়ছেন। বিশেষ করে সোমবার (১৫ জুলাই) কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের ২নং সহ-সভাপতি তৌসিফ কবির পদত্যাগ করে ফেসবুকে লিখেন, আমি ১৫ জুলাই থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু এবং নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি আমার ভালোবাসার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি, কিন্তু আজ পদত্যাগ করলাম। নিজের সংগঠনের প্রতি পূর্ণ ভালোবাসা এবং সম্মান রেখে, দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখাকেই আমি সর্বোচ্চ সফলতা মনে করি। জয় বাংলা, ধন্যবাদ।
ফেইসবুকে পোস্ট করে নিজ ইচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে মো. মাহমুদুল হাসান নোমান।
উল্লেখ্য, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে এখন পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ আংশিক কমিটি থেকে কেউ পদত্যাগ না করলেও পদত্যাগ করছেন বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের পদধারী নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে রয়েছেন সহ-সভাপতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কর্মীসহ অন্যান্য পদধারীরা।