ছাতক-কোম্পানিগঞ্জের একটি সিন্ডিকেট মহালের বালু অবৈধ ভাবে ড্রেজিং করে উত্তোলন করছে

মোঃ মোশাররফ হোসেন

ছাতক প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার শেরপুর, নিজগাঁও মৌজার বালু মহাল পিয়াইন নদী এবং ছোট সাতকিলা, বড় সাতকিলা,গোয়াপাকুরা গ্রুপ ও ঝলক পুঞ্জ জল মহাল ১৪৩১ বাংলা সনের জন্য ইজারা নিয়ে ছাতক ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার আরো কয়েকটি বালু মহালে হাত বাড়িয়েছে একটি চক্র।

এই চক্রটি ইজারা বহির্ভূত কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার শিমুলতলা মৌজা ও ছাতক উপজেলার রাজেন্দ্রপুর মৌজার বাহাদুর পুর, বাইরং নদী ও চলিতার ঢালা বালু মহাল ইজারা বহির্ভূতভাবে লুটে-পুটে খাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইজারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ড্রেজিং করে বালু পাথর উত্তোলন করছে এ চক্র। বালুমহাল ইজারা নিয়ে পাথর ও উত্তোলন করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে দিনের বেলায় নদীতে ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে বালু,পাথর উত্তোলন করা হলেও বর্তমানে বালু পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে রাতে।

দিনে ফ্রেজিং মেশিন (ড্রেজার) নদীর কিনারায় বন্ধ থাকে আর রাতে কয়েক শত নৌকা বালু ও ছোট পাথর (সিংগেল) উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি সহ ধ্বংস
হয়ে যাচ্ছে নদীর কিনারা আশপাশের গ্রাম ও বাড়ি।

সরকারের একটি অংশ ইজারা গ্রহণ করে তারা বিশাল এলাকা দখল করে সরকারি সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে বালু খেঁকো এ চক্রের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে কোম্পানিগঞ্জ থানার চাটিবহর গ্রামের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বালু খেঁকো চক্রের সদস্য
চাটিবহর গ্রামের সুজন মিয়া,গনেশপুর গ্রামের বুলবুল মিয়া,বাগবাড়ি গ্রামের রাসেল চৌধুরী,চাটিবহর গ্রামের কিতাব উদ্দিন, ময়না মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার গৌখালের পার গ্রামের আকদ্দছ আলী একই বালু খেঁকো চক্রের বিরুদ্ধে ছাতক থানা,কোম্পানিগঞ্জ থানা, ছাতক নৌ- পুলিশ ফাড়ি, জেলা ফরেষ্ট বিট কর্মকর্তা, ছাতকের সহকারী কমিশনার ভুমি,সহকারী পুলিশ সুপার গোয়াইঘাট সার্কেল,সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী আকদ্দছ আলী জানান, অভিযোগ দেয়ার আগে ইজারাকৃত ও ইজারা বহির্ভূত এলাকায় বালু উত্তোলন করা হতো দিনে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পর একই স্থানে রাতে ড্রেজার দিয়ে বালু ও সিংগেল পাথর উত্তোলন ও বিক্রি করছে তারা।

 

মোঃ মোশাররফ হোসেন
ছাতক প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *